ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই খেলোয়াড় তাব্রেইজ শামসি ও কেশব মহারাজের জয়ের উচ্ছ্বাস। হতাশ পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা
ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই খেলোয়াড় তাব্রেইজ শামসি ও কেশব মহারাজের জয়ের উচ্ছ্বাস। হতাশ পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা

বাজে আম্পায়ারিং এবং বাজে নিয়মই হারিয়েছে পাকিস্তানকে, বললেন হরভজন

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম টানা চার ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। সেটাও এসেছে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হৃদয়ভাঙা ১ উইকেটের হারে। এমনিতে ছন্দহীন সময় কাটছে পাকিস্তানের। কিন্তু গতকালের হারের দায় সেভাবে কেউ বাবর আজম-শাদাব খানদের দিচ্ছেন না। অনেকেই মনে করছেন, ইংলিশ আম্পায়ার অ্যালেক্স ওয়ার্ফের একটি সিদ্ধান্তই হারিয়েছে পাকিস্তানকে।

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা তো ওয়ার্ফের সমালোচনা করছেনই, এবার যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। হরভজন সিং ও ইরফান পাঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, চেন্নাইয়ে পাকিস্তান হেরেছে মূলত ওয়ার্ফের সিদ্ধান্তের কারণেই।

ইংলিশ আম্পায়ারের ওই সিদ্ধান্তকে ভুল বলার উপায় নেই। রান তাড়ায় নামা প্রোটিয়া ইনিংসের ৪৬তম ওভারে হারিস রউফের শেষ বলটি তাব্রেইজ শামসির প্যাডে লেগেছিল। পাকিস্তান এলবিডব্লুর আবেদন করলে সাড়া দেননি ওয়ার্ফ।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ উইকেটে হারার পর মাঠ ছাড়ছেন হতাশ পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা

দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ উইকেট জুটি হওয়ায় মরিয়া পাকিস্তান রিভিউ নেয়। বল ট্র্যাকিং দেখায়, রউফের ইনসুইং লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও সেটি মাঠের সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি, শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জেতে তাঁর দল।

এ নিয়ে টুইটারে (বর্তমানে এক্স) ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন লিখেছেন, ‘বাজে আম্পায়ারিং এবং বাজে নিয়মের মূল্য দিয়েছে পাকিস্তান। আইসিসির উচিত এই নিয়ম পরিবর্তন করা। বল যদি স্টাম্পে লাগে, তাহলেই আউট। তা সেটা আম্পায়ার দেন আর না–ই দেন। এটাই হওয়া উচিত, আর না হলে প্রযুক্তি কেন?’

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম

ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান বলেছেন, ‘দুটি সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে গেছে। ওয়াইড আর এলবিডব্লু। এই বিশ্বকাপের নিখুঁত একটি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।’

হরভজনকে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ মনে করিয়ে দিয়েছেন, আম্পায়ার্স কলের জন্যই রেসি ফন ডার ডুসেন কাল আউট হয়েছিলেন, ‘ভাজ্জি, আম্পায়ার্স কল নিয়ে আমি তোমার সঙ্গে একমত। রেসি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দলেরও একই অনুভূতি হতে পারে।’

কাল ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাবর আজমকেও। পাকিস্তান অধিনায়ক অবশ্য বিতর্কে যেতে চাননি, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গেছে, সেটা খেলারই অংশ।’