আট বছর পর জাতীয় দলে রনি তালুকদার
আট বছর পর জাতীয় দলে রনি তালুকদার

দীর্ঘ অপেক্ষায় রনি যেখানে সবার ওপরে

‘নেটে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। রনিকে তো আগেও দেখেছি, মনে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (২০১৫ সালে) একটি ম্যাচ খেলেছিল। এরপর চোটে পড়ল, না অন্যরা ভালো করা শুরু করল, সেটি অবশ্য মনে নেই।’

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই বিস্মৃত হয়ে যাওয়া রনি তালুকদার ফিরছেন আজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দলে রাখা হয়েছে বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স দেখানো ডানহাতি টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যানকে।

রনির দুই ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে ১০০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। কোনো খেলোয়াড়ের দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মধ্যে সেই দলের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা—এমন তালিকায় দুইয়ে উঠে এলেন রনি। তালিকায় শীর্ষে ডেভন থমাস।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আরেকটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে ক্যারিবীয়রা খেলে ফেলেছিল ১০২টি ম্যাচ।

রনির ফেরার দিনে দলে ফিরেছেন শামীম হোসেনও

বাংলাদেশিদের মধ্যে রনির আগে এ তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন এনামুল হক। ২০১৫ সালের পর ২০২২ সালে গিয়ে আরেকটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, এর মাঝে বাংলাদেশ খেলেছিল ৭৯টি ম্যাচ।

সময়ের হিসাবে দুটি ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা বিরতির রেকর্ডটি বারমুডার কাইল হডসলের। ২০০৮ থেকে ২০২১-১৩ বছর ৯৭ দিন বিরতি দিয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন।
সময়ের হিসাবে অবশ্য রনিই বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে। তাঁর দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মধ্যে কেটে গেছে ৭ বছর ২৪১ দিন। এখানেও তিনি ছাড়িয়ে গেলেন এনামুল হককে, যাঁর দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মধ্যে বিরতি ছিল ৬ বছর ২২৯ দিন।

রনির এমন ফেরার দিনে দলে ফিরেছেন শামীম হোসেনও। সর্বশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। এই দুজনের ফেরার দিনে অভিষেক হচ্ছে আরেক ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের। ৭৮ নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হলো তাঁর। সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ইবাদত হোসেনের, গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুবাইয়ে।