গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের আকস্মিক ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। আজ সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই ঢাকায় সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিদ্ধান্ত বদলেছেন এ ব্যাটসম্যান। গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তামিম, পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের সাক্ষাতের সময় সঙ্গে থাকা সাবেক অধিনায়ক ও এখনকার সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজাও জানিয়েছেন তাঁর প্রতিক্রিয়া।
অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তামিমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিশিয়াল পেজ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে না বলতে পারি না।’ ছবিতে তামিমের সঙ্গে আছেন তাঁর স্ত্রী আয়েশা ইকবালও। এর আগে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন তিনি।
আজ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরা তামিমকে দুপুরে গণভবনে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তামিমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মাশরাফি, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে তামিম ও নাজমুল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও মাশরাফি বলেননি। তবে কিছুক্ষণ পরই অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম থেকে দুটি ছবি পোস্ট করে মাশরাফি লিখেছেন, ‘আবার দেখা হবে, এ দেখাই শেষ দেখা নয়, ইনশা আল্লাহ।’
এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে মাশরাফি ভূমিকা রেখেছেন বলে তামিম নিজেই জানিয়েছেন, ‘তাতে (সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে) অবশ্যই পাপন (নাজমুল হাসান) ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন।’
এর আগে গতকাল তামিমের আকস্মিক অবসরের পর মাশরাফি ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘তোকে যতটুকু চিনি, তাতে তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অনায়াসে পোস্টমর্টেম করতে পারতাম। কিন্তু তা করব না, কারণ ওই যে তোর নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত।’
বাইরের কোনো চাপে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন কি না তামিম, এমন প্রশ্নও তুলেছিলেন মাশরাফি। সেই মাশরাফিই আজ তামিমের অবসরের সিদ্ধান্ত বদলানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলেন।