সুজি বেটস ১০৮, বার্নাডিন বেজুইডেনহুট ৮৬, অ্যামেলিয়া কার ৮৩, সোফি ডিভাইন ৭০। নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান নারী ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং–ক্রমের প্রথম চার ব্যাটারের রান। কুইন্সটাউনে আজ চার কিউই ব্যাটার মিলে নতুন রেকর্ড উপহার দিলেন মেয়েদের ওয়ানডেকে। মেয়েদের ওয়ানডেতে এই প্রথম ব্যাটিং–ক্রমের প্রথম চার ব্যাটারই ৭০ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চার অর্ধশতকের সৌজন্যে নিউজিল্যান্ড করে ৪ উইকেটে ৩৬৫ রান। সিদরা আমিন ১০৫ রান করলেও রান তাড়ায় ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে ১৩১ রানে হেরেছে পাকিস্তান নারী দল। মুনিবা আলী ও সিদরা আমিনের উদ্বোধনী জুটি ১৮.৫ ওভারে তোলে ১১০ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। এর আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়েছিল পাকিস্তান। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম সিরিজ জয়।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের দাপটের ম্যাচটিতে চোটে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন পাকিস্তানের নিদা দার। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৪৪তম ওভারে বোলিং করার সময় সোফিয়া ডিভাইনের শট আঘাত করে পাকিস্তান অধিনায়ক নিদা দারের মুখে। সিরিজের পরের দুটি ম্যাচে অধিনায়ককে পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
এর আগে অনুশীলনের সময় হাতে আঙুলে চোট পান পেসার ডায়না বেগ। তর্জনিতে চিড় ধরেছে তাঁর।
মেয়েদের মতো ছেলেদের ওয়ানডেতেও প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ৭০ ছাড়ানোর উদাহরণ আছে মোটে একটি। আট বছর আগে ২০১৫ সালে লাহোরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান।
আজকের মতো সেটিও ছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ১৭০ রান তোলার পথে পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলী ৭৯ ও মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৮৬ রান। এরপর উইকেটে আসা শোয়েব মালিক ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১১২ রান। ২০১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী হারিস সোহেল অপরাজিত ছিলেন ৮৯ রানে। ৩ উইকেটে ৩৭৫ রান করে পাকিস্তান। সেই ম্যাচে রান তাড়ায় খারাপ করেনি জিম্বাবুয়েও, ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করেও ৪১ রানে হারে দলটি।