২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৪৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ
২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৪৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ

‘৫০’ ডাকছে বাংলাদেশকে

২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসে কোনো ম্যাচ ছিল না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। এরপর অবশ্য ব্যস্ততা আর অবসর দেয়নি বাংলাদেশ দলকে। মার্চের ১ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে শুরু ব্যস্ততার শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সেদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ।

বছরের বাকি সময়টায় কোনো দৈবদুর্বিপাক হানা না দিলে ওই ম্যাচটায় বিশেষ এক মাইলফলক ছোঁবে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ৫০তম ম্যাচ হবে ২০ ওভারের সেই ম্যাচটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ৩৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ৫০ ছুঁতে যাচ্ছে বাংলাদেশের খেলা ম্যাচের সংখ্যা।

নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ ওয়ানডে পর্যন্ত বাংলাদেশ এ বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছে ৪৭টি। এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি খেলল ২০২৩ সালেই। এর আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৪৬টি ম্যাচ খেলেছে দুবার—২০২১ ও ২০২২ সালে। এ বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে নতুন মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে ১৯৮৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের আগে এক বছরে ৫০ বা এর বেশি ম্যাচ খেলেছে আটটি দল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলে ২৭ বার এক পঞ্জিকাবর্ষে ম্যাচ-সংখ্যায় ৫০ ছুঁয়েছে।

১৯৯৭ সালে সবার আগে এই মাইলফলক ছোঁয় ভারত। সে বছর ৫১টি ম্যাচ খেলে ভারতীয়রা। দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে ৫৩টি ম্যাচ খেলে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে ফেলে দলটি। সে বছর ৫১টি ম্যাচ খেলেছিল ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়াও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আগমনের পর রাতারাতি বেড়ে গেছে বছরে ৫০ ম্যাচ খেলার ঘটনা। বছরে ৫০ ম্যাচ খেলার ২৭ ঘটনার ২০টিই ২০০৫ সালের পরের। ২০২২ সালে সর্বোচ্চ তিনটি দল ৫০–এর বেশি ম্যাচ খেলে। এ বছরও সংখ্যাটা ৩ হবে। এরই মধ্যে ভারত ৬৫টি ও নিউজিল্যান্ড ৫৮টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। একটুর জন্যই দলের সংখ্যাটা ৪ হচ্ছে না। এ বছর আরও দুটি ম্যাচ হাতে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে থামতে হবে ৪৯ ম্যাচে।

এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা ভারতের। ২০২২ সালে ৭১টি ম্যাচ খেলে রোহিত-কোহলির দল। ওই বছর ৭টি টেস্ট, ২৪টি ওয়ানডে ও ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ভাঙে ভারতীয়রা। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল ৬১ ম্যাচ।

ভারতীয়রা ২০২৩ সালসহ মোট ৯ পঞ্জিকাবর্ষে ৫০ বা এর বেশি ম্যাচ খেলেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার ম্যাচের সংখ্যায় ‘ফিফটি’ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণের দুটিতেই এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভারতের। ১৯৮৩ সালে রেকর্ড ১৮টি টেস্ট খেলে দলটি। ওয়ানডের রেকর্ডটা ১৯৯৯ সালের—৪৩টি। এক বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ডটাও ভারতেরই ছিল। ২০২২ সালে রেকর্ড ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলে দলটি। কিন্তু ২০২৩ সালে রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে রুয়ান্ডা। পূর্ব আফ্রিকার দেশটি এ বছর খেলেছে ৪২টি ম্যাচ!