শেষ দিনের খেলাটা হবে রোমাঞ্চকর, এমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছিল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচে। তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণাঞ্চলের রান ছিল ৫ উইকেটে ২৪৬, লিড ২৭৬ রানের। আজ সকালে ২৭৭ রানে থামে দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস। তাতে মধ্যাঞ্চলের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০৮ রান।
শেষ দিন এ রান তাড়া করে জেতা চাট্টিখানি কথা নয়। দক্ষিণের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ সেটি হতেও দেননি। ৫ উইকেট নিয়ে মধ্যাঞ্চলের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন। ২৬ ওভারে ৯৪ রান দিয়ে নাসুমের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে সপ্তমবার পেলেন ৫ উইকেট। নাসুমকে সঙ্গ দিয়েছেন ১৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া খালেদ আহমেদ।
মধ্যাঞ্চলের ইনিংস থামে ১৯৭ রানে। তাতে ১১০ রানের বড় জয় পায় দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটসহ ম্যাচে ৮ উইকেট পাওয়া নাসুম হয়েছেন ম্যাচসেরা।
তবে এই ম্যাচের ফলাফল অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় বড় কোনো প্রভাব ফেলেনি। কারা খেলবে বিসিএলের ফাইনাল, তা প্রথম দুই রাউন্ডের পরই নিশ্চিত হয়ে যায়।কক্সবাজারে আগামী ৪ মার্চ বিসিএলের ফাইনালে খেলবে দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চল।
কক্সবাজারে তৃতীয় রাউন্ডের অন্য ম্যাচটা ড্র হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস স্কোর ৪০৩ রানের জবাবে উত্তরাঞ্চল চতুর্থ দিন শুরু করে ৩ উইকেটে ১৩৮ রানে। এরপর দিনটা ছিল অধিনায়ক নাঈম ইসলামের। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর আজও তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছেন তিনি। জোড়া সেঞ্চুরিতে তুষার ইমরানের সর্বোচ্চ প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির রেকর্ডের আরও কাছে পৌঁছে গেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২টি সেঞ্চুরি তুষারের। আজ নাঈমের ১০৭ রানের ইনিংসটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাঈমের ৩১তম।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল তরুণ ব্যাটসম্যান তানজিম হাসানের। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ৯০ রানে। দুজনের সৌজন্যে ৮ উইকেটে ৪১৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে উত্তরাঞ্চল। জোড়া সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাঈম।