পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।
পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।

ফাইনাল নিয়ে শোয়েব, ‘এটা খালার বাড়ি নয় যে ভারত হেসেখেলে জিতে যাবে’

ফেবারিট হিসেবেই এশিয়া কাপে এসেছিল ভারত-পাকিস্তান। সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট হিসেবেও উচ্চারিত হচ্ছিল এই দুই দলের নাম। এমনকি এই দুই দলকে ফাইনালে নিতে আয়োজকদেরও চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। ভারত ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ফাইনালে ভারত-শ্রীলঙ্কা। ফেবারিট ভারতও যে দাপটের সঙ্গে ফাইনালে গেছে, তা নয়। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে তারা।

এই হারের পর ফাইনালে আগে চাপ বেড়েছে রোহিত শর্মার দলের ওপরও। তাই ফাইনালটা যে একপেশে কোনো ম্যাচ হবে না, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার। বাংলাদেশের বিপক্ষে হার ভারতের জন্য সতর্কবার্তা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, লড়াইটা একেবারে সহজ হবে না। ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তানের হার এবং বাংলাদেশের কাছে ভারতের হার বদলে দিয়েছে অনেক ধারণা। বিশ্বকাপে কেউ যে পরিষ্কার ফেবারিট নয়, সেই বার্তাও মিলেছে এই দুই ম্যাচ থেকে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েবও মনে করিয়ে দিলেন সে কথা, ‘আমরা ধারণা করতে পারিনি বাংলাদেশের কাছে ভারত হারবে। কিন্তু তারা হেরেছে। এটা লজ্জাজনক হার। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে এবং এখন তারা এশিয়া কাপের বাইরে। এটা আরও বড় লজ্জা। ভারত তো অন্তত ফাইনাল খেলছে। তারা সব হারায়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারটা তাদের জন্য একটা সতর্কবার্তা ছিল। তাদের উচিত ফাইনালে জয় নিশ্চিত করা। কিন্তু এর জন্য তাদের অনেক ভালো খেলতে হবে।’

ফাইনালে আজ মুখোমুখি ভারত–শ্রীলঙ্কা

তবে শ্রীলঙ্কা যে এই ম্যাচে ছেড়ে কথা বলবে না, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন শোয়েব, ‘এটা খালার বাড়ি নয় যে ভারত হেসেখলে জিতে যাবে। এমন কিছুই হবে না। কঠিন এক লড়াই হতে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কাও মাঠে নামবে ভারতকে হারাতে। এই ম্যাচে যে কেউ জিততে পারে। ভারত বাংলাদেশের কাছে হেরেছে। তাদের জেগে উঠতে হবে।’

বাংলাদেশের কাছে ভারতের হারে পাকিস্তানিরা খুশি হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন শোয়েব। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতকে দারুণভাবে হারিয়েছে। এতে কিছুটা শান্তি হয়তো আমার মতো অন্য পাকিস্তানিরাও পাচ্ছে। ভারত অন্তত বাংলাদেশের কাছে তো হারল। ভারতের জন্য এটা একটা সতর্কবার্তা। পাকিস্তানকে হারিয়েই নিজেদের সেরা ভাবার সুযোগ নেই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল।’