সুপার টুয়েলভে প্রতি দলের ম্যাচ পাঁচটি করে। এর মধ্যে শুধু একটি ম্যাচই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। যে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার ৮৯ রানের ব্যবধানে। এই একটি হারেই আতঙ্ক ঢুকে গেছে অস্ট্রেলীয়দের মনে। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই যদি না খেলতে পারেন!
অস্ট্রেলিয়া এবার শুধু নিজেদের উঠোনেই খেলছে না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। বেশির ভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষকের চোখে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট অ্যারন ফিঞ্চের দল।
কিন্তু সেই অস্ট্রেলিয়া হেরে গেছে প্রথম ম্যাচেই। তাও বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ২০০ রান। অস্ট্রেলিয়া নিতে পেরেছে মাত্র ৩ উইকেট। রান তাড়া করতে নেমে ১০০ রান তোলার আগেই আউট হন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সাত ব্যাটসম্যান।
শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে অলআউট ১১১ রানে। টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে যা সর্বনিম্ন। সেমিফাইনালের সমীকরণ মেলাতে এখনো চারটি ম্যাচ হাতে আছে অস্ট্রেলিয়ার।
ইংল্যান্ড ছাড়া বাকি তিন প্রতিপক্ষই যেখানে তুলনামূলকভাবে দুর্বল—আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। প্রথম রাউন্ডে নামিবিয়ার কাছে হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়ার পরের ম্যাচ।
মঙ্গলবারের ম্যাচটি খেলতে আজ সকালে সিডনি থেকে পার্থে গেছে অস্ট্রেলিয়া। যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন স্টয়নিস।
প্রথম ম্যাচে বড় হারের কারণে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল সম্ভাবনা এখন নিজেদের হাতে আছে কি না সন্দেহ তাঁর, ‘যদি এভাবে ভেবে দেখি যে মাত্র তো প্রথম ম্যাচ খেলেছি, এখনো অনেক ম্যাচ বাকি তাহলে সবই ঠিকঠাক। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হার আমাদের এমন এক জায়গায় ঠেলে দিয়েছে যে সম্ভবত আমাদের হাতে আর নিয়ন্ত্রণ নেই।’
নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৯ রানে হেরে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার নেট রান রেট এখন ৪.৪৫০। ৬ দলের গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠবে দুটি দল। অস্ট্রেলিয়াকে এখন বাকি চার ম্যাচেই জিততে হবে; এক ম্যাচ হারলেই ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা। আবার জেতা ম্যাচগুলোতে রান রেটও থাকতে হবে বেশি।
টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলার পরই যে পথটা কঠিন হয়ে গেছে, সে কথা নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর অধিনায়ক ফিঞ্চও স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে নেট রান রেট মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য তাঁর, ‘টুর্নামেন্ট বিবেচনায় অনেক বড় হার এটি। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই বিধ্বস্ত হয়েছি। তবে রান রেটের আঘাতটা বড়।’
তবে এখনই আশা হারাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। গত বছর শিরোপা জেতার পথেও এমন একটি বড় হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিলেন ফিঞ্চরা। সে বার ইংল্যান্ডের কাছে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে ১২ ওভারের মধ্যে ৮ উইকেটে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপরও পরের দুটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করেন ফিঞ্চরা।
এরপর শেষ চারে পাকিস্তানকে হারানোর পর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে টপকে আসে শিরোপাজয়ও।
স্টয়নিসের আশা, এবারও ঘুরে দাঁড়াবে তাঁর দল, ‘এভাবে খেলতে আমাদের ভালোই লাগে। চাপের মুখে আমরা আগেও পারফর্ম করেছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যে পারফরম্যান্সটা চাই সেটা করতে পারি। নিজেদের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। আশা করি সব ঠিকঠাকই থাকবে।’