এক ফ্রেমে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস
এক ফ্রেমে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস

যে কীর্তিতে ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় শ্রীলঙ্কা

প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও প্রথম ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করে ম্যাচের ছবি পাল্টে দিয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই গল্প। সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনই। এক টেস্টে একই দলের দুই ব্যাটসম্যানের জোড়া সেঞ্চুরির ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার ঘটল।

এই কীর্তি প্রথমবার ঘটে ১৯৭৪ সালে ওয়েলিংটনে, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিলান্ড টেস্টে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টে এই কীর্তি গড়েছিলেন দুই ভাই ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল। দ্বিতীয় ঘটনা ২০১৪ সালে, পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের আজহার আলী ও মিসবাহ-উল হকের দুজনেই করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি।

১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ইয়ান চ্যাপেল খেলেছিলেন ১৪৫ রানের ইনিংস, গ্রেগ চ্যাপেল পেয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি (২৪৫)। দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়ান চ্যাপেল করেন ১২১ আর গ্রেগ চ্যাপেল ১৩৩ রান। সেই ম্যাচে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া জিততে পারেনি, টেস্ট ড্র হয়েছে।

জোড়া সেঞ্চুরি লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাটে

পরের ঘটনা ৪০ বছর পর, ২০১৪ সালে। এবার পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান কীর্তিটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ারই বিপক্ষে। আজহার আলী ও মিসবাহ-উল-হক হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৫৬ রানে হারায় পাকিস্তান।

ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু জুটির একটি কীর্তিও গড়েছেন। তৃতীয় জুটি হিসেবে একই টেস্টের দুই ইনিংসে দেড় শ পেরোনো জুটি গড়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে সাত নম্বর কিংবা এর পরে ব্যাটিংয়ে এসে এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার এখন কামিন্দু।

ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুর জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে বাংলাদেশের চেয়ে এখন পর্যন্ত ৪৩০ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। যার মানে এই ম্যাচে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।

ব্যাটিংয়ের জন্য ধীরে ধীরে কঠিন হওয়া উইকেটে এমন রান বাংলাদেশ তাড়া করতে পারে, আপাতদৃষ্টিতে সেটা মনে হচ্ছে না। মানে ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুও মিসবাহ-আজহারের মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া এখন হয়তো সময়ের ব্যাপার। সিলেট টেস্টে যে আজ তৃতীয় দিনের খেলা চলছে।