বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিং–গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রশ্ন অবশ্য দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পরই তুলেছিলেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন।
এমনিতেই দলে জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম বিলিংস, লিয়াম ডসনরা পিএসএল খেলতে বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন; তারপর উইল জ্যাকস আর টম অ্যাবেলের চোট ইংল্যান্ড দলের ভারসাম্যে অনেকটাই সমস্যা তৈরি করেছিল।
কিন্তু জ্যাকস আর অ্যাবেলের বদলি খেলোয়াড় না নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্যাম কারেন, মঈন আলী আর রেহান আহমেদদের সুযোগ দিয়েছিল ইংল্যান্ড। যুক্তিটা ছিল, অক্টোবরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে প্রতিকূল কন্ডিশনে পারফর্ম করার সুযোগ করে দেওয়া। এ পরিকল্পনা উল্টো ফল দিয়েছে বলেই মনে করেন নাসের হুসেইন।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে উড়ে গেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। গতকাল শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলেও ১৬ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের পর স্কাই স্পোর্টসের বিশ্লেষণে নাসের হুসেইন আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ, এ সফরে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে আরও একটু ‘সম্মান’ প্রাপ্য ছিল বাংলাদেশের। কথাটা সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিং–ভারসাম্য প্রসঙ্গে, ‘এই সিরিজে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান না থাকাটা ভুল বার্তা দিয়েছে। আপনার জার্সিতে তিনটি সিংহের ছাপ আছে, আপনি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছেন। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের কিন্তু যথেষ্ট শ্রদ্ধাই প্রাপ্য।’
৮ মাস পরের বিশ্বকাপের কথা তুলে বর্তমানকে অবহেলা করার ঘোর বিরোধী নাসের হুসেইন, ‘আমরা দলের ভারসাম্য তৈরি না করে যে ভবিষ্যতের বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তা করছি, এটাই চিন্তার বিষয়। সামনে যে খেলা আছে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। না হলে এমন একটা বার্তা ছড়ায় যে এখনকার খেলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনা নিয়েই এগোনো উচিত বলে মনে করেন নাসের, ‘স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি—নির্বাচকদের দুই দিকেই ভারসাম্য রাখা উচিত। ম্যাথু মট, জস বাটলার, রব কি—তাঁরা কেউই বোকা লোক নন। তাঁরা জানেন কী করছেন।’