নাভিদ নেওয়াজ
নাভিদ নেওয়াজ

নেওয়াজের চোখে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রশ্নটা শুনেই ভ্রু কুঁচকে তাকালেন নাভিদ নেওয়াজ। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা এমন কথা বলতে পারেন, সেটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না সহকারী কোচের। কৌতূহলী চোখে যেন জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সত্যিই কি সে এ কথা বলেছে?’


খোঁচাটা গতকাল রাতেই দিয়েছিলেন শানাকা। বাংলাদেশ দলে বিশ্বমানের বোলার বলতে আছেন শুধু মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানিস্তান থেকে সহজ দল হবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর এই উপলব্ধিই হয়েছে লঙ্কান অধিনায়কের।
আজ সকালে টিম হোটেলে নেওয়াজকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে একটু অবাকই হলেন শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ। তাঁর দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দলটাকে যতটা খারাপ মনে করা হয়, বাংলাদেশ আসলে ততটা খারাপ নয়। এমনকি শ্রীলঙ্কার চেয়েও তিনি বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখার পক্ষে।


সেটার কারণও জানিয়েছেন তিনি, ‘এই কথার সঙ্গে একমত হওয়া কঠিন। বাংলাদেশ দলে অনেক প্রতিভা আছে। বাংলাদেশ নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলে। বিপিএল নিয়মিত হচ্ছে, অনেক বছর ধরেই এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। যেটা খেলোয়াড়দের আর্থিক ও ক্রিকেটীয় দক্ষতার দিক থেকে সমৃদ্ধ করেছে।’

দাসুন শানাকা

নেওয়াজের দাবি, তাঁদের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এখনো টি-টোয়েন্টির সংস্কৃতিই গড়ে ওঠেনি, ‘শ্রীলঙ্কা অত বেশি টি-টোয়েন্টি খেলে না। এখনো টি–টোয়েন্টির সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি সেখানে। শ্রীলঙ্কা টেস্ট ও ওয়ানডেতে যতটা ভালো খেলে, টি-টোয়েন্টি ততটা নয়। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের কেবল একটা আসরই হয়েছে। এটা নিয়মিত হলে কয়েক বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কার টি–টোয়েন্টি দলও দাঁড়িয়ে যাবে।’

নেওয়াজের কথা গুরুত্ব দেওয়ার কারণ আছে। চার বছর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। তাঁর কোচিংয়ে ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। সেই দলের অনেকেই এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়ে গেছেন। সেই সুবাদে বাংলাদেশের সিংহভাগ তরুণ ক্রিকেটারই তাঁর চেনা। তাঁদের অনেকের সঙ্গে এখনো তাঁর সরাসরি যোগাযোগ আছে।

এশিয়া কাপের দলে থাকা পারভেজ হোসেনের কথা আলাদা করেই বলছিলেন নেওয়াজ। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। পারভেজ এখনো নেওয়াজের সঙ্গে খেলা নিয়ে আলোচনা করেন। দলের আরও অনেকের সঙ্গেই নেওয়াজের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। নেওয়াজও এতে গর্বিত, ‘আমি খেলাটার সঙ্গে ৩০ বছর ধরে আছি। এখন আর কোনো দেশের সীমারেখা নেই। নিজের ছাত্ররা যে দেশেরই হোক, ভালো করলে খুব ভালো লাগে।’