সাকিব-নাজমুল-মুশফিকরা কে কোথায় ঈদ করছেন

সারা বছরের ক্রিকেট সূচির ব্যস্ততার ফাঁকে একটু ফুরসত পাওয়ার অন্যতম উপলক্ষ ঈদ। আর নাজমুল হোসেনের কাছে ঈদ মানেই রাজশাহীর ঈদ। খেলা না থাকলে অন্য কোথাও ঈদ করার কথা ভাবতেই পারেন না জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে কাটে নাজমুলের ঈদ। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।


শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ হওয়ার পরই নাজমুলসহ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যোগ দিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টটির ৯ রাউন্ড খেলা হয়েছে। ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটির পর আবার মাঠে ফিরবে প্রিমিয়ার লিগ। ১৫ এপ্রিল ঢাকা লিগের দশম রাউন্ডের খেলা। তার আগেই ঢাকায় ফিরবেন নাজমুলরা। তার আগে যে কয় দিন ঈদের ছুটি পেয়েছেন, সেটা কাটাতে কেউ গেছেন গ্রামের বাড়িতে, কেউ আবার থাকছেন ঢাকায়।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুলের মতো গ্রামের বাড়িতে ঈদ কাটাবেন, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যাটাই বেশি। মেহেদী হাসান মিরাজ গতবার ঈদ করেছেন ঢাকায়। এবার খুলনায় নিজের বাড়িতে ঈদ করবেন। তাওহিদ হৃদয়ও প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ ম্যাচটা খেলে বগুড়ায় গেছেন। টানা ক্রিকেটের ধকলের পর ঈদের ছুটিতে বিশ্রাম নিয়ে ক্লান্তি দূর করতে চান হৃদয়।

মুশফিকুর রহিম ঈদ করবেন বগুড়ায়


অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমও বগুড়ায়। চোটের কারণে তিনি শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলতে পারেননি। আঙুলের সে চোট সেরে ওঠায় ঈদের ছুটির মাঝেও শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অনুশীলন করছেন তিনি। মুশফিকের মতো নিজের বাড়ি চাঁদপুরে ঈদ করবেন মাহমুদুল হাসান, শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে, রিশাদ হোসেনের ঈদ নীলফামারীতে।

নাজমুল হোসেনের কাছে ঈদ মানেই রাজশাহীর ঈদ


জাতীয় দলের খেলা যেহেতু নেই, জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারের মতো শরীফুল ইসলামও ফিরেছেন আপন নীড়ে। পঞ্চগড়েই চলছে এই বাঁহাতি পেসারের ঈদ প্রস্তুতি। তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদও ঈদ করবেন তাঁদের গ্রামের বাড়িতে। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ অবশ্য ঢাকার ছেলে। তাঁর ঈদও তাই ঢাকাতেই।
ব্যতিক্রম হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ওমরাহ করতে সৌদি আরব গেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। ঈদ হয়তো কাটবে সেখানেই।

মোস্তাফিজুর রহমানের ঈদও দেশের বাইরে। আইপিএলে খেলার কারণে গত কয়েক বছরই ঈদের সময়টা ভারতে কাটাতে হয় জাতীয় দলের এই বাঁহাতি পেসারকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। আইপিএলে তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে মোস্তাফিজকে।

ওমরাহ করতে সৌদি আরব গেছেন সাকিব।


ঈদের পরই আবার জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। ১৮ এপ্রিল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভাবনায় থাকা খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের খেলাও আছে। জাতীয় দলের কোচদের ঢাকায় ফেরার কথা ২২ এপ্রিল। ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে জিম্বাবুয়ে।


সেই সিরিজের ক্যাম্প শুরু হবে যাবে কোচরা ঢাকায় এলেই। এরপর আর দম ফেলার সময় পাবেন না নাজমুলরা। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হতে না হতেই যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্ট, এরপর বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আবহে প্রবেশ করার আগে ঈদের ছুটিটা পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে চাইবেন ক্রিকেটাররা।