পাকিস্তানকে হারানোর পর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে
পাকিস্তানকে হারানোর পর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে

শুধু বাংলাদেশকে হারানোই নয়, সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগও দেখছে জিম্বাবুয়ে

এবারই প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে তারা। ১৩০ রানের পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে ক্রেইগ আরভিনরা এখন এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচসহ বাকি তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও দেখছে জিম্বাবুয়ে।

আগের পাঁচবার প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া জিম্বাবুয়ে এবার আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে ওঠে। গ্রুপ ২–তে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলই ধরা হয়েছিল আফ্রিকান দেশটিকে। কিন্তু পাকিস্তানকে হারিয়ে এখন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে দলটি।

আগামীকালের বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে সে কথাই জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন, ‘ছেলেরা ফুরফুরে মেজাজে আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে সবাই অনেক আত্মবিশ্বাসী।’

রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ বলে পাকিস্তানকে ১ রানে হারানোর পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারদের উল্লাস

দুই ম্যাচের কোনোটিতে না হারা জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট এখন ৩। সঙ্গে নেট রান রেট ‍+০.০৫০। অপর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ আছে চাপে। নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে ২টি পয়েন্ট পেলেও প্রোটিয়াদের কাছে বড় হারে নেট রান রেট ঋণাত্মক ২.৩৭৫।

দুই দলের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি লড়াইয়েও এগিয়ে জিম্বাবুয়েই। জুলাই-আগস্টে হারারেতে হওয়া তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল আরভিনের দল। তবে বাংলাদেশকে সমীহই করছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ মানসম্পন্ন দল। আমাদের আগামীকাল নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

জিম্বাবুয়ে দলের লক্ষ্য অবশ্য শুধুই বাংলাদেশকে হারানো নয়, বরং সুপার টুয়েলভের বাকি দুই ম্যাচ জিতে সেরা চারে ওঠা। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ ছাড়া জিম্বাবুয়ের অপর দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও ভারত। তিনটির যেকোনো দুটি জিতলেই সেমিফাইনাল খেলার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

আজ ব্রিসবেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, ‘সেমিতে ওঠার বিশাল সুযোগ পেয়েছি আমরা। তবে এর জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হবে। এরপর নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হবে। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ আর অন্যান্য ম্যাচের ফলের ভূমিকাও থাকবে।’

অবশ্য খেলাটা টি–টোয়েন্টি বলে বাস্তবতাও মাথায় রাখছেন আরভিন। ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ ম্যাচেই রেখেছেন সব মনোযোগ, ‘আমরা এটাও জানি যে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট কতটা অনিশ্চিত। খুব দ্রুতই ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে এখানে। আমরা আপাতত আগামীকালের বাংলাদেশ ম্যাচেই মনোযোগ দিচ্ছি।’