ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট—শব্দ দুটো শোনেননি এমন কোনো পেসার হয়তো এই মুহূর্তে নেই। গত কয়েক বছর এটি ক্রিকেট বহুল উচ্চারিত কর্ম ব্যবস্থাপনা। বড় বড় অনেক দল পেসারদের ওয়ার্ক লোড ম্যানেজ করেই খেলায়। পাকিস্তান দলও এই পথে হাঁটার চেষ্টা করছে।
সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া সফরে ও বাংলাদেশ সিরিজে একটি টেস্টে শাহিন আফ্রিদিকে খেলানো হয়নি। তাঁর ভালোর জন্য করা হলেও এই ব্যবস্থা বোধ হয় খুব একটা পছন্দ নয় পেসার আফ্রিদির। সরাসরি এর বিপক্ষে কথা না বললেও আফ্রিদির কথাতে স্পষ্ট তিনি ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের ভক্ত নয়।
আফ্রিদির মতে, গত কয়েক বছর ধরে ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন দুই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসকে।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সামা টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আপনি বলছেন বিশ্বে আমি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বোলিং করেছি...কিন্তু আপনি যদি অতীতে তাকান, আমাদের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসের সময়ে কিন্তু ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট বলে কিছু ছিল না। আমি জানি না, গত এক বছরে এটাকে, ইনজুরিকে আমরা কেন এত বড় করে ফেলেছি। আমরা এসবকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এটা আসলে ওই ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে, সে কীভাবে কোন সংস্করণ খেলবে। আপনাকে মানসিকভাবে ফিট থাকতে হবে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য।’
এখন ক্রিকেট যে অনেক হচ্ছে সেটাও স্বীকার করেছেন আফ্রিদি, ‘এটা ঠিক যে এখন অনেক ক্রিকেট হচ্ছে। কিছুটা দেখেশুনে খেলা উচিত। তবে এটা ওই ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে। যদি আপনি এত খেলাকে চাপ হিসেবে নেন, তাহলে আপনি চোটে পড়বেন, অবসাদ আসবে, শরীর সাপোর্ট করবে না। খেলাটা আসলে উপভোগ করা উচিত। কারণ ক্রিকেট ছোটবেলা থেকে শখ করে খেলেছি।’
অনুশীলনেও অনেক পেসার এখন খুব বেশি বোলিং করতে চান না বলে শোনা যায়। আবার অনেকে মনে করেন, যত বোলিং করা হবে, ততই সেরাটা বেরিয়ে আসবে। আফ্রিদি কোন দলে, ‘আপনার কাছে ট্রেইনার আছে, ফিজিও আছে, বোলিং কোচ আছে এরা আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে। তাঁরা জানেন কোন বোলার, ব্যাটসম্যান, ফিল্ডারের খেলা উচিত। তাঁরা সে হিসাবেই একাদশ গড়েন। আপনি যদি আমাকে বলেন, তাহলে আমি বলব আমি সারা দিন বোলিং করব। এখন সেটা কাজে দেবে কি না, এ বিষয়েও তাঁদের জ্ঞান বেশি।’