সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় হার, ব্যবধান ২০১ রান। দ্বিতীয় টেস্টের শুরুটাও নড়বড়ে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট মাত্র ১৬৪ রানে। তবে কিংস্টন টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচে এগিয়ে এই বাংলাদেশই।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ২১১ রানে, হাতে ৫ উইকেট। পরিসংখ্যান বলছে, কিংস্টন টেস্টে এই মুহূর্তে জয়ের পথেই বাংলাদেশ। আর সেটা হলে দেশের বাইরে এক বছরে পাওয়া টেস্ট জয়ের হিসাবে নতুন রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান কী বলছে, সেটা দেখা যাক। কিংস্টনে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১২ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।
অর্থাৎ, বাংলাদেশ যদি আজ চতুর্থ দিনে ১ রানও স্কোরবোর্ডে যোগ করতে না পারে, তাহলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড ছুঁয়ে জিততে হবে। ক্রিকেটে যেকোনো কিছু হতে পারে, তাই বলে বাংলাদেশ কোনো রান না তুলে আজ ৫ উইকেট হারাবে, এটা ভাবা একটু কঠিনই।
তৃতীয় দিন শেষে উইকেটে ছিলেন জাকের আলী ও তাইজুল ইসলাম। এখনো ব্যাটিংয়ে নামেননি মুমিনুল হক। আর কিংস্টনে ২০০ রান তাড়া করে টেস্ট জেতা সহজ কোনো কাজ নয়। এই মাঠে ১৮০ রানের বেশি তাড়া করে টেস্ট জেতার ঘটনা মাত্র দুটি। এর সঙ্গে যোগ করুন উইকেটের বর্তমান পরিস্থিতি।
এই উইকেটেই প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ যে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৩ রান এখন পর্যন্ত তুলেছে, সেটাও এসেছে পাল্টা আক্রমণের কৌশলে। এই উইকেটে রান করা মোটেই সহজ নয়।
রেকর্ড প্রসঙ্গে আসা যাক। কিংস্টন টেস্ট জিতলে চলতি বছরে দেশের বাইরে বাংলাদেশ টেস্ট জিতবে ৩টি। এর আগে এ বছর বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ২ টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই করছে।
এর আগে কখনোই এক বছরের দেশের বাইরে দুটির বেশি টেস্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ দেশের বাইরে ২টি টেস্ট জিতেছিল। সেটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই।
সব মিলিয়ে এক বছরে ৩টি টেস্টের বেশি জেতেওনি বাংলাদেশ। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৩টি করে টেস্ট জিতেছে। কিংস্টনে জয় এলে এই তালিকায় ২০২৪ সালও যোগ হবে।