ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের ইনিংস ব্যবধানে হারের পর বাবর আজমকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়, যা ভালোভাবে নিতে পারেননি ফখর জামান। বাবরকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সমালোচনা করে পোস্ট দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বেচারা ফখর এতেই বিপদে পড়ে যান। পিসিবি এই সমালোচনার কারণে ১৫ অক্টোবর তাঁকে শোকজ করে। কারণ দর্শানোর জন্য তাঁকে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের ষষ্ঠ দিনেই জবাব দিয়েছেন ফখর। তিনি জানিয়েছেন, একজন বন্ধু ও সতীর্থ হিসেবে বাবরের বাদ পড়া তাঁর কাছে উদ্বেগের মনে হয়েছিল। সেই উদ্বেগ থেকেই মন্তব্য করেছিলেন।
ফখর শোকজ নোটিশের জবাবে লিখেছেন, ‘বাবর আজম বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। সে কারণেই (তাঁকে বাদ দেওয়ার পর) নিজের মতামত প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, খারাপ সময়েও বাবর আজম দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। একজন সতীর্থ হিসেবে এটা পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিরই প্রতিফলন।’ তবে পিসিবির সিদ্ধান্তের প্রতিও সম্মান জানিয়েছেন ফখর, ‘পিসিবি আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এটিকে সম্মান জানাতে থাকব।’
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তান দলের নিয়মিত মুখ হলেও ফখরের টেস্ট ক্যারিয়ার সেভাবে এগোয়নি। ক্যারিয়ারে খেলা ৩ টেস্টের সর্বশেষটি খেলেছেন ২০১৯ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই ৩টি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাবে পাকিস্তান দল। সেই সফর দিয়ে ফখর দলে ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রতিবাদের পাশাপাশি হাঁটুর চোটের কারণে তাঁর ফিরতে দেরিও হতে পারে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, সম্প্রতি ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি ফখর। তাঁকে ৮ মিনিটে ২ কিলোমিটার দৌড়াতে বলা হয়েছিল। তিনি সেটা করতে ব্যর্থ হন; যদিও এই চোট নিয়েই ফখর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন। পিসিবির নতুন নির্বাচক আকিব জাভেদ তাঁকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ফিটনেস ইস্যুকে কিছুটা শিথিল করেছেন। তবে বাবর ইস্যুতে তাঁর মন্তব্যে এখনো কয়েকজন বোর্ড কর্মকর্তা অখুশি।