বড় জয় পেয়েছে গুজরাট
বড় জয় পেয়েছে গুজরাট

আইপিএল

‘বড়’ পান্ডিয়ার লক্ষ্ণৌয়ের সঙ্গে বড় জয় ‘ছোট’ পান্ডিয়ার গুজরাটের

এক দলের অধিনায়ক ছোট ভাই হার্দিক পান্ডিয়া, অন্য দলের বড় ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। দুই প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক দুই সহোদর—আইপিএলের ইতিহাসেই এমন ঘটনা এই প্রথম। ঐতিহাসিক এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ক্রুনালের লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে বিশাল ব্যবধানেই হারিয়েছে হার্দিকের গুজরাট টাইটানস। ২২৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে শুরুটা দারুণ হলেও দ্রুতই পথ হারিয়েছে লক্ষ্ণৌ , তারা আটকে গেছে ৭ উইকেটে ১৭১ রানেই। ৫৬ রানের জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা গুজরাট (১৬) দুইয়ে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের (১৩) সঙ্গে ব্যবধানে বাড়িয়ে নিল আরও। অন্যদিকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লক্ষ্ণৌ।

পাওয়ারপ্লেতে ৭৮, প্রথম ১২ ওভারে ১৪২ রান—টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা গুজরাটকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। মাত্র ২০ বলে ফিফটি পান ঋদ্ধিমান, গিলের লাগে ২৯ বল। গুজরাটের ১৪২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১৩তম ওভারে, আবেশ খানের বলে ক্যাচ দেন ৪৩ বলে ৮১ রান করা ঋদ্ধিমান। ইনিংসে এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ১০টি চারের সঙ্গে মারেন ৪টি ছক্কা।

প্রতিপক্ষ দুই দলের অধিনায়ক দুই ভাই, হার্দিক (বাঁয়ে) ও ক্রুনাল পান্ডিয়া

ঋদ্ধিমান ফিরলেও এক প্রান্তে গিল তো ছিলেনই, হার্দিক পান্ডিয়ার ১৫ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে রানের গতি ধরে রাখে গুজরাট। গিল ও পান্ডিয়ার জুটিতে ২৩ বলে ওঠে ৪২ রান। পান্ডিয়া ফেরেন ৪ ওভার বাকি থাকতে। গিলের সঙ্গে এরপর যোগ দেন ডেভিড মিলার, দুজনের জুটিতে ২৪ বলে ওঠে ৪৩ রান।

১৯তম ওভার শেষে ৮৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন গিল, শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান ভালোভাবেই। তবে পরের ৩ বলে ৩ রানের বেশি নিতে পারেননি, স্ট্রাইকও ফিরে পাননি আর। গিলের ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে ছিল ৭টি ছক্কা। ৮ জন বোলার ব্যবহার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। পরের দিকে স্লোয়ারের ব্যবহার ভালোই করেছিলেন লক্ষ্ণৌ বোলাররা, তবে শুরুর ঝড়েই গুজরাট গড়ে বড় স্কোর।

গুজরাট পাওয়ারপ্লেতে তুলেছিল ৭৮ রান, লক্ষ্ণৌ তোলে ৭২। এত দিন বাইরে বসে থাকা কুইন্টন ডি কককে অবশেষে সুযোগ দেয় লক্ষ্ণৌ, কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে শুরুটা তাই দারুণ হয় লক্ষ্ণৌয়ের। তবে সে জুটি থামে ৮৮ রানেই। ৩২ বলে ৪৮ রান করা মেয়ার্সকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মোহিত শর্মা। মেয়ার্স ফেরার পরই কমে আসে রানের গতি, লক্ষ্ণৌয়ের রান তাড়ার ছন্দপতনও হয় বেশ।

গুজরাটের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল

তিনে নামা দীপক হুদা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে ১১ রান করে মোহাম্মদ শামির ফুলটসে ক্যাচ তোলেন তিনি, ডি ককের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৪ বলে ওঠে মাত্র ২৬ রান। মার্কাস স্টয়নিস বা নিকোলাস পুরানও তেমন কিছু করতে পারেননি, প্রয়োজনীয় রানরেটও লক্ষ্ণৌয়ের নাগালের বাইরে চলে যায় দ্রুতই। স্টয়নিস ও পুরানের মাঝে ফেরেন ৪১ বলে ৭০ রান করা ডি কক, লক্ষ্ণৌয়ের শেষ আশাও বলতে গেলে শেষ সেখানেই। ইমপ্যাক্ট বদলি আয়ুশ বাদোনি ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেললেও সেটি আদতে কোনো পার্থক্য গড়তে পারেনি।

গুজরাটের দুই আফগান রিস্ট স্পিনার রশিদ খান ও নুর আহমেদ আবারও দারুণ বোলিং করেছেন। প্রথম ২ ওভারে ২০ রান দিলেও নুর বোলিং শেষ করেন ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে, ফেরান পুরানকে। রশিদ ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান, নেন ডি ককের উইকেট। তবে এ দুজনকেও ছাপিয়ে যান মোহিত শর্মা। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এ পেসার।