৪ উইকেটে ১২২ রান থেকে ১৪১ রানে অলআউট, অর্থাৎ লঙ্কানরা সর্বশেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ১৯ রানে। এমন ব্যাটিং–ধসের প্রভাব হয়তো পড়েছে শ্রীলঙ্কার বোলিংয়েও।
দিলশান মদুশানাকা, কাসুন রাজিথাদের নিষ্প্রভ বোলিং কিউই ব্যাটসম্যানদের কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি। ডানেডিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ৯ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে নিউজিল্যান্ড। এ জয়ে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল কিউইরা।
ডানেডিনের উইকেটে লঙ্কানদের ১৪১ রান কিউইদের জন্য যথেষ্ট হতে পারে, এমনটা শুরুতে মনে হয়নি। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মিলেই গড়েছিলেন ২০ বলে ৪০ রানের জুটি।
১৫ বলে ৩১ রান করে ফিরেছিলেন তরুণ ওপেনার চাড বৌস। এরপর টম ল্যাথাম ও টিম সাইফার্টের অবিচ্ছিন্ন ১০৬ রানের জুটিতে কোনো বিপদের আশঙ্কাই জাগেনি। সাইফার্ট অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৭৯ রান করে, ল্যাথাম অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা খারাপ হয়নি। ২৯ রানের মধ্যে দু্ই ওপেনারকে হারালেও কুশল পেরেরা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দলকে বড় সংগ্রহের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনে মিলে গড়েছিলেন ৬২ রানের জুটি। দলীয় ৯১ রানের সময়ে ৩৫ রান করে অ্যাডাম মিলনের বলে আউট হন পেরেরা। এরপর ডি সিলভাও ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি।
৩৭ রান করে আউট হয়েছেন রাচিন রবীন্দ্রর বলে। পরপর দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায় চাপে পড়ে দাসুন শানাকার দল। এরপর গত ম্যাচের নায়ক চারিত আসালাঙ্কা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আজ তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না।
দলীয় ১৪০ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৪ রানে আউট হন আসালাঙ্কা। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ ছয়জন ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন মিলনে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নিয়েছেন ৫ উইকেট।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুপার ওভারে জিতেছিল লঙ্কানরা। তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি হবে ৮ এপ্রিল কুইন্সটাউনে।