নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান করেন সরফরাজ খান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান করেন সরফরাজ খান

পন্তের দেওয়া শেফের খাবার খেয়ে এই সরফরাজ

বেঙ্গালুরু টেস্ট শেষে ভারত আক্ষেপে পুড়বে না তৃপ্তি অনুভব করবে, আপাতত অজানা। আজ পঞ্চম দিনের খেলায় নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নামবে ১০৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে। টেস্টের পঞ্চম দিন বলে ছোট করে হলেও আশা আছে ভারতের। তবে দলের জন্য যেমনই হয়ে উঠুক, ম্যাচটা সরফরাজ খানের জন্য স্মরণীয়ই।

২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এই ম্যাচেই করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, যা লম্বা হয়েছে ১৫০ পর্যন্ত। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের কারণে সরফরাজ তাই ভারতের ক্রিকেট মহলে এখন আলোচিত নাম, প্রশংসিত নাম। দীর্ঘ সময় স্থূল স্বাস্থ্যের কারণে সমালোচিত হওয়া সরফরাজের এই সাফল্য পাওয়ার পেছনে একজন শেফেরও ভূমিকা আছে। যে শেফকে ঠিক করে দিয়েছেন আবার ঋষভ পন্ত। এই পন্তের সঙ্গেই ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৭ রানের জুটি গড়েছেন সরফরাজ।

সরফরাজের ফিটনেসের পেছনে পন্তের শেফের ‘অবদানের’ বিষয়টি সামনে এনেছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক সরফরাজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওজন কমিয়ে নিজেকে ফিট করে তুলতে কী পরিশ্রমটাই না করেছেন সরফরাজ, ‘সে নিজের ফিটনেস নিয়ে ভারতীয় দলের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের সঙ্গে কাজ করেছে। ঋষভ পন্ত একজন শেফ ঠিক করে দিয়েছে। ওই শেফ সরফরাজের খাবাদাবার দেখভাল করেন।’

সরফরাজ খানকে শেফ ঠিক করে দিয়েছেন ঋষভ পন্ত

বিভিন্ন সময় বেশি ওজনের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সরফরাজকে। এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আগে বারবার যখন রান করেও উপেক্ষিত থেকেছেন, তখন কেউ কেউ স্থূল স্বাস্থ্যের বিষয়টি সামনে আনতেন।

মুম্বাইয়ের ছেলে বলে ১৫ বছর ধরে সরফরাজকে চেনেন জানিয়ে সূর্যকুমার বলেন, ‘ওর শরীরের কাঠামোটাই এমন যে মোটা মনে হয়। কিন্তু ওকে যদি আপনি ৪৫০ বল খেলতে বলেন, ডাবল সেঞ্চুরি, ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে বলেন, সেটা করার মতো স্কিল ওর আছে। আমার মনে হয় দলেরও চাওয়া এটাই। বড় সেঞ্চুরি, ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেওয়া ইনিংস খেলা...। আমি ম্যাচের দিন কখনোই অনুশীলন এড়িয়ে যেতে দেখিনি তাকে। ম্যাচ থাকলে ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে যায়। বাড়িতেই এক ঘণ্টা ব্যাট করে, এরপর টিম বাসে ওঠে। আবার খেলা শেষেও ব্যাট হাতে নিয়ে কাছের মাঠে চলে যায়।’