পাকিস্তানের ব্যর্থতার বিশ্বকাপ অভিযান শেষে তিন সংস্করণেরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বাবর আজম। গত ১৫ নভেম্বর বাবর পদত্যাগ করার দুই ঘণ্টার মধ্যে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। টেস্টে অধিনায়কত্ব পান ব্যাটসম্যান শান মাসুদ, টি-টোয়েন্টিতে ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি। আগামী কয়েক মাস ওয়ানডে না থাকায় এই সংস্করণে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এ মাসেই অভিষেক হয়েছে মাসুদের। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া সফরে এরই মধ্যে সিরিজও হেরে গেছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদির অভিষেক হবে নতুন বছরে। ১২ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান।
পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সকে নেতৃত্ব দিয়ে টানা দুবার শিরোপা জেতানো আফ্রিদি জাতীয় দলের নেতা হিসেবে কেমন করেন, সেটা কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে। তবে শাহিন আফ্রিদির শ্বশুর শহীদ আফ্রিদির মতে, তাঁর জামাতাকে পাকিস্তানের নেতৃত্বে আনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
পাকিস্তান দলের মতো শহীদ আফ্রিদিও এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। বাবর, রিজওয়ান, শাহিনরা অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন খেলতে আর শহীদ আফ্রিদি গেছেন তাঁর ফাউন্ডেশনের কাজে। আজ মেলবোর্নে ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু ভুলবশত শাহিনকে অধিনায়ক করা হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম ও খেলার প্রতি মনোযোগের কারণে আমি রিজওয়ানের প্রশংসা করি। কে কী করল না করল, সেসবে ওর আগ্রহ নেই। ওর সবচেয়ে ভালো গুণ শুধু খেলার প্রতি মনোনিবেশ করা। সে সত্যিই একজন যোদ্ধা।’
ওই অনুষ্ঠানে শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ানসহ পাকিস্তান দলের আরও কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শহীদ আফ্রিদির মন্তব্য শুনে তাঁরা সবাই হেসে দেন।
জামাতা শাহিনের নেতৃত্ব নিয়ে এর আগেও নিজের অভিমত তুলে ধরেন শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি। দুই বছর আগে লাহোর কালান্দার্সের নেতৃত্ব পাওয়ার পরেই শাহিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আরও এক-দুই বছর অধিনায়কত্বের চিন্তা বাদ দিয়ে ওর শুধু বোলিংয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।’
তবে লাহোরকে দুবার শিরোপা জিতিয়ে শাহিন তাঁর শ্বশুরকে ভুল প্রমাণ করেছেন। এবার জাতীয় দলের হয়েও নেতৃত্বগুণ দেখিয়ে শ্বশুরকে ভুল প্রমাণের পালা শাহিনের।