বাংলাদেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তো নিয়মিতই খেলছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলেও খেলেছেন। পাকিস্তানের পিএসএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএলেও তিনি নিয়মিত। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টেন লিগেও সাকিব খেলেছেন। এর বাইরে ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি কাউন্টি ক্রিকেটেও খেলেছেন।
আজ সাকিবের অভিষেক হয়ে গেল তাঁর আরেক ‘ঘর’ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি)। আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের এমএলসি ফ্র্যাঞ্চাইজি লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে টেক্সাস সুপার কিংসের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৪ নম্বরে নেমে ১৩ বলে ১৮ রান করেছেন তিনি, ৩ ওভার বোলিং করে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। সাকিবের দল জিতেছে ১২ রানে।
ডালাসে আগে ব্যাট করা লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের ৭ উইকেটে করা ১৬২ রানের জবাবে খেলতে নেমে টেক্সাস সুপার কিংস ৮ উইকেটে করেছে ১৫০ রান। সুপার কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। তাঁর ৩৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। এই কিউই ওপেনার ছাড়া সুপার কিংসের কেউই ৩০-এর ঘরে যেতে পারেননি। অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার স্পেনসার জনসন ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। বাকি কাজটা করেন আরেক পেসার আলী খান। তিনি ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে ৫ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে নাইট রাইডার্স। তিনে নামা উন্মুক্ত চাঁদ টিকে যাওয়ায় রক্ষা। তিনি সাকিবকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কাটা সামলে নেন। যেখানে সাকিবের অবদান ১৮ রান। চাঁদ শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ২০তম ওভার পর্যন্ত। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৬৮ রান, ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৫১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে ৭ উইকেটে ১৬২ রান করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস, যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল।