ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে খেলার জন্য আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে আজ জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার উপায় ছিল না বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। প্রয়োজনীয় জয়টা তুলে নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন মাহমুদুল হাসান-জাকির হাসানরা।
কলম্বোর পি সারা ওভালে আগে ব্যাটিং করে মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরি আর জাকিরের ৬২ রানে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান তোলে বাংলাদেশ ‘এ’। জবাবে আফগানিস্তান ‘এ’ দল ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ২৮৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি। বাংলাদেশ ‘এ’ জিতেছে ২১ রানে।
৩০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানের জুটি গড়েন দুই আফগান ওপেনার রিয়াজ হাসান ও জুবায়েদ আকবরি। রিয়াজ লড়েছেন দারুণ। ১০৫ বলে ৭৮ রানে ফেরেন সৌম্য সরকারের বলে রিপন মণ্ডলের ক্যাচ হয়ে। আউট হওয়ার আগে তিনি নূর আলী জারদানের সঙ্গে গড়েন ৯০ রানের জুটি। এরপর নূর আলী জারদান ও শহীদুল্লাহ গড়েন ৭০ রানের আরও একটি জুটি। দুজনই করেন ৪৪ রান করে। এই সময় পর্যন্ত আফগানিস্তান ম্যাচে থাকলেও এরপর রানের গতি ধরে রাখতে পারেনি। বাহির শাহ ৫০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ দিকে শরফুদ্দিন আশরাফ ও ইজহার-উল-হক নাভিদ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পেসার তানজিদ হাসান সাকিব ৬৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়াও বাঁ হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ৩০ রানে ২টি ও সৌম্য সরকার ৬১ রানে ২ উইকেট নেন। একটি উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল। যদিও তিনি ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৩ রান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। আফগান বোলাররাও বোলিং করেছেন দারুণ। ৫.৫ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ দল। তানজিদ হাসান সাকিব ৯, মোহাম্মদ নাঈম ১৮ রান করে আউট হন। অধিনায়ক সাইফ ৪ রান করে ফেরেন। এরপর মাহমুদুল হাসান ও জাকির হাসান চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১১৭ রানের জুটি। এরপর পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল ও সৌম্য গড়েন ৭৮ রানের আরও একটি জুটি। জাকির ৭২ বলে ৬২ করে ফেরেন। সৌম্য ৪২ বলে করেন ৪৮। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদুল। তিনি ১১৪ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ১০০। শেষের দিকে ১৯ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মেহেদী হাসান। তাঁর এই ইনিংসই বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০০ পার করিয়ে দেয়। রাকিবুল হাসান ১২ বলে করেন ১৫। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সেলিম।