কুইন্টন ডি কক
কুইন্টন ডি কক

আইপিএলের বেঞ্চে পড়ে আছে ২৬৮৬৪৮৭৭০ টাকা

২৬ কোটি ৮৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭০ টাকা—অঙ্কটা মোটেই ছোট নয়। তবে আইপিএলের মতো আসরে এই টাকাটা আর এমন কী! আপাতদৃষ্টিতে কিন্তু তাই মনে হচ্ছে। আর সে কারণেই বোধ হয় এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ‘বেঞ্চে’ই রাখা আছে এতগুলো টাকা!

আইপিএলের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে কুইন্টন ডি কক, জো রুটের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। শুধু এই দুজনই নন, এখন পর্যন্ত মাঠেই নামেননি আরও ১০ জন বিদেশি ক্রিকেটার।

যাঁদের অনেককেই আবার মোটামুটি বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ডি কক, রুটের মতো কারা এখনো মাঠে নামতে পারেননি, সেই নামগুলো একটু দেখে নেওয়া যাক—ম্যাথু ওয়েড, ড্যানিয়েল স্যামস, ওডিন স্মিথ, ফিন অ্যালেন, ব্রেভিস, দাসুন শানাকা, ওবেড ম্যাকয়, ডনোভান ফেররেইরা, লুঙ্গি এনগিডি, ক্রিস জর্ডান। দলের কম্বিনেশনের কারণেই মূলত এই এক ডজন ক্রিকেটার সুযোগ পাচ্ছেন না। এদের কিনতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মোট খরচ ২৬ কোটি ৮৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭০ টাকা।

এঁদের মধ্যে ডি ককের সুযোগ না পাওয়াটাই সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত। লক্ষ্ণৌর হয়ে গত মৌসুমে ৫০০ রানের বেশি করা এই ওপেনারের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ওপেনিং পজিশনটা নিজের করে নিয়েছেন কাইল মায়ার্স। রুট নিয়মিত রাজস্থানের একাদশে সুযোগ পাবেন না, সেটা অনুমিতই ছিল। তবে জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ারের ভিড়ে একটা ম্যাচেও খেলতে পারবেন না, সেটা একটু অবাক করা ঘটনাই বটে।

শানাকা আইপিএলে সুযোগ পেয়েছিলেন কেইন উইলিয়ামসনের চোটের কারণে। আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়েছিলেন উইলিয়ামসন। তাঁর জায়গায় গুজরাট দলে নেয় শানাকাকে। তবে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে মাঠেই নামাতে পারেনি হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

হাঁটুর চোটে আইপিএল শেষ হয়ে যায় কেইন উইলিয়ামসনের

গুজরাট সুযোগ দিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডকে। সবচেয়ে বেশি ৩ জন অব্যবহৃত ক্রিকেটার আছেন রাজস্থান (রুট, ফেররেইরা, ম্যাকয়) ও গুজরাটে (ওয়েড, শানাকা, স্মিথ)। ব্রেভিস ও জর্ডান মুম্বাইয়ের একাদশে এখনো সুযোগ পাননি। নিলামে অবিক্রীত থাকলেও বদলি হিসেবে জর্ডানকে দলে নিয়েছে মুম্বাই। চেন্নাই, কলকাতা, পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ তাদের সব বিদেশি ক্রিকেটারদেরই এখন পর্যন্ত খেলিয়েছে।

নিলামের টেবিলে ঝড় তুলেছেন, কিন্তু ম্যাচ খেলেছেন কয়েকটি, এমন উদাহরণও আছে। ইংলিশ তারকা বেন স্টোকসের কথাটাই ধরা যাক। ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে স্টোকসকে দলে নিয়েছিল চেন্নাই। তবে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপসের মতো তরুণ আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার খেলতে পেরেছেন মাত্র ১ ম্যাচ। আদিল রশিদদেরও ঠিকানা হয়েছে বেঞ্চ।

আইপিএলে তারকারা শুধু খেলছেনই না, বেঞ্চও গরম করছেন। একাদশে কিংবা ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কে খেলছেন, সেটা যেমন কৌতূহলের কারণ হয়েছে, তেমনি কারা বেঞ্চে আছেন, সেদিকে চোখ রাখাও তো এখন কম আগ্রহের নয়!