টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তান তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম কার্যকরী অলরাউন্ডার শাদাব খান। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ গড়ে ১১ উইকেট আর ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে করা তাঁর ৯৮ রানে জায়গা পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও।
মূলত তাঁর ২২ বলে ৫২ রানের ইনিংসেই বাঁচা–মরার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় পাকিস্তান। পারফর্ম করে চলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিতেও। প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া মেজর লিগ ক্রিকেটেও খেলবেন এই ক্রিকেটার। তবে এই অলরাউন্ডার রাজনৈতিক কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলে খেলার সুযোগ পান না।
শাদাবের সেরার লড়াইটা যখন করতে হয় বিশ্বের অন্যান্য অলরাউন্ডারদের সঙ্গে, তখন আইপিএল খেলতে না পারা কি কিছুটা পিছিয়ে দিচ্ছে শাদাবকে? ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইপিএলে খেলা না–খেলা নিয়ে শাদাব বলেছেন, ‘আমি জানি না, আমি এখন সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের একজন কি না, তবে আমি হতে চাই। হ্যাঁ, আইপিএলে পারফর্ম করলে সেই ক্রিকেটারের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও তাঁর সুনাম বেড়ে যায়। এটা অন্যতম একটা কারণ। তবে আমার মতে, দিন শেষে আপনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পারফরম্যান্স অন্য সবকিছুর চেয়ে আপনাকে বেশি সন্তুষ্টি দেয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পারফরম্যান্সকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।’
বর্তমানে বিশ্বের সেরা বোলারের নাম রশিদ খান, যিনি নিজেও একজন লেগ স্পিনার। রশিদের সঙ্গে একসঙ্গে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন শাদাব।
রশিদের পরামর্শ কীভাবে শাদাবের কাজে লেগেছে, সেই কথাও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শাদাব, ‘আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। এর পরপরই ওর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। এক বছর পর আমারও অভিষেক হয়। বর্তমানে বিশ্বের সেরা বোলার রশিদ। ওর সঙ্গে দেখা হলেই ওর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করি। খেলা সম্পর্কে ওর দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করি। কারণ, ও সব জায়গায় খেলেছে, সব জায়গায় পারফর্ম করেছে। ২০২০-২১ সালের দিকে আমাকে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ও যেহেতু আমাকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অনুসরণ করেছে, বোলিং রানআপের সময় আমার লাফটা একটু বেশি উঁচুতে হয়ে যায়, আমি এটা নিয়ে কাজ করেছি। সৌভাগ্যক্রমে আমি ফলও পেয়েছি।’