মাঠের পারফরম্যান্স ও মাঠের বাইরের নানা সমস্যার কারণে সাকিবকে আজ একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন উঠে গেল। এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে চেন্নাই টেস্ট হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হাসানকে এ প্রশ্নটার মুখোমুখি হতে হলো।
বাংলাদেশ থেকে সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকের করা প্রশ্নটা শুনে নাজমুল নিজেকে সামলে নিতে কয়েক মুহূর্ত সময় নিলেন। এরপর হেসে বললেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ্!’ তারপর খেলোয়াড় সাকিবের মাঠের বাইরের পারফরম্যান্স পাশ কাটিয়ে গেলেন কৌশলে, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না।’
নাজমুল কথাটা শুধু সাকিবের প্রসঙ্গে বললেও তা পুরো দলের জন্য, উল্লেখ করেছেন সেটাও, ‘অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এমন নয় যে রান করছে বা রান করছে না। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়, তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি তার চিন্তাভাবনা কেমন, দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য ওই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি, দলে যে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’
এর আগে সাকিবের চোখের সমস্যা ও আজ ব্যাটিংয়ের সময় সামলাতে গিয়ে আঙুলে পাওয়া ব্যথা নিয়েও প্রশ্ন হয়েছে। সে প্রশ্নেও নাজমুল ব্যক্তি থেকে সরিয়ে আলোচনাটা নিয়ে গেলেন পুরো দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের দিকে, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা, টেপ পেঁচিয়েছেন। বল লেগেছিল, ওখানে ব্লিডিংও হয়েছিল। যে কারণে টেপ প্যাঁচানো। আমি কখনো নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা দলীয় খেলা। পুরা দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, ভালো কিছু হতো। তো আলাদা করতে ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’