টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কারণে উপমহাদেশে খুব একটা ওয়ানডে খেলা হয়নি ইংল্যান্ড দলের। সর্বশেষ উপমহাদেশের মাটিতে ইংল্যান্ড দল ওয়ানডে খেলেছে ২০২১ সালের মার্চে। লম্বা বিরতিটা ভাঙছে এবারের বাংলাদেশ সফর দিয়ে। দুবছর পর ১ মার্চ থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সিরিজটি এ বছরের শেষে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিরও অংশ।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই বললেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপকে ঘিরেই আমাদের পরিকল্পনা। বাংলাদেশের কন্ডিশন ভারতের কন্ডিশনের সবচেয়ে কাছাকাছি। এখানে আমরা নিজেদের পরীক্ষা নিতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
বাটলার এর সঙ্গে যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এই ধরনের কঠিন কন্ডিশনেই খেলতে চাই। এখানে স্লো আর লো উইকেট প্রত্যাশা করছি। এটাই আমরা চাই। দল হিসেবে এই পরীক্ষা দিতে চাই।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে রেকর্ডও মাথায় আছে ইংল্যান্ডের। ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১৩টি ওয়ানডে সিরিজের একটিতেও হারেনি তামিমের দল। সর্বশেষ সিরিজে বাংলাদেশ হারিয়েছে শক্তিশালী ভারতকে। বাটলাররাও চ্যালেঞ্জ জানেন, ‘বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে হারানো কঠিন। ওরা সম্প্রতি ভারতকে হারিয়েছে।’
ইংল্যান্ড দল সাদা বলের ক্রিকেটে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশের কন্ডিশনে সেটি সম্ভব হবে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘সব উইকেটে তো আর ৪০০ রান করা সম্ভব নয়। আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাদের ইতিবাচক খেলাটাই খেলতে চাইব।’
এতে ইংল্যান্ড দলের ক্রিকেটারদের বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন বাটলার। এই দলের অনেকেরই বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৬ সালে বাটলারের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড দল। সে সুখস্মৃতিও এই সিরিজে ইংলিশদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।