নাহিদা আক্তার
নাহিদা আক্তার

গরম বা বিতর্ক নয়, নাহিদাদের মনোযোগ খেলায়

সিরিজটি আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনায় ছিল না। কিন্তু আগামী জুলাই মাসে মেয়েদের এশিয়া কাপ ও অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ফাঁকা সময়টা কাজে লাগাতে চেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভারত ও বাংলাদেশ নারী দলের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে ২৮ এপ্রিল। প্রস্তুতিমূলক দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি সামনে রেখে কয়েক দিন ধরেই প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে লড়াই করে অনুশীলন করছে দুই দল।

মূল ম্যাচেও প্রচণ্ড দাবদাহের চ্যালেঞ্জ সামলে খেলতে হবে। বাংলাদেশ দল নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সেভাবেই প্রস্তুত করছে। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দলের সহ-অধিনায়ক নাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘যে গরম পড়ছে, সবার কষ্ট হচ্ছে। আমার মনে হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এ নিয়ে অজুহাত দেওয়া উচিত নয়। তারপরও আমরা বলব, ঢাকার থেকে এখানে...আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, মানিয়ে নিতে হবে। এটা নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা আমাদের মনোযোগ খেলায় রাখছি।’

দলের প্রস্তুতি নিয়ে নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমরা এখানে খুবই ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আরও একটা দিন আছে। আশা করি, ভালো প্রস্তুতি হবে। গতকাল আর আজ আমাদের ব্যাটাররা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। বোলাররাও খুব ভালো করেছে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের ধবলধোলাই হলেও ভারত সিরিজের প্রস্তুতি ভালো হওয়ায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারত নারী ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশে

নাহিদার কথায় আছে সে আভাস, ‘আমাদের ভালো খেলতে হবে। এটা নিশ্চিত যে ভালো না খেললে ম্যাচ জেতা যাবে না। যেদিন ভালো খেলবেন, সেদিন ম্যাচ জিতবেন। আমাদেরও সে চেষ্টাই থাকবে। এখন আমরা একটা ভালো জায়গায় আছি। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ভালো কিছু করতে পারব।’

ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠের কন্ডিশনে নাহিদাদের অতীত স্মৃতিও মধুর। গত বছর শক্তিশালী ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জমজমাট লড়াইয়ের পর ২-১ এ হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দুই দলের ৩ ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়।

সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ

তবে বাংলাদেশের মেয়েদের দারুণ পারফরম্যান্সের চেয়ে ভারতের মেয়েদের স্লেজিং আর অসদাচরণের কারণে সেই সিরিজ আলোচিত। আরও একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আগেও মাঠের বাইরের বিতর্কিত বিষয়টি আলোচনায় আসছে। নাহিদা অবশ্য মাঠের খেলায়ই মনোযোগ রাখার কথা বলেন, ‘আমরা ওটা চিন্তা করছি না। আমরা চিন্তা করি মাঠে কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলব, কীভাবে জয় পাব…।’

ভারতের মতো দলকে হারানোর উপায়টাও নিশ্চয়ই সবার জানা। বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং বরাবরই শক্তিশালী। মারুফা আক্তার যোগ হওয়ায় পেস আক্রমণের শক্তি বেড়েছে। ভারতকে থামাতে হলে বোলিং আক্রমণই হবে বাংলাদেশের মূল শক্তি। নাহিদাও তা-ই বললেন, ‘শক্তির জায়গায় যারা ভালো করবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। আমাদের বোলাররা ভালো করছে, ব্যাটাররাও করছে। ফিল্ডিংয়ে চেষ্টা করছি কীভাবে আরও ভালো করা যায়।’