কথা ছিল, কথা হবে তাঁর বাড়িতে। শেষ পর্যন্ত আর সেটা হলো না। তিনি নিজেই চলে এলেন গ্লেনেল সৈকতে। পরনে শর্টস, টি–শার্ট, স্লিপার। সঙ্গে পোষা কুকুর। অ্যাডিলেড জেমি সিডন্সের নিজের শহর বলে কথা!
ছুটি কেমন কাটছে জানতে চাইলে উল্টো খোঁচা দিলেন হেসে, ‘ছুটি তো এখনো শুরুই করতে পারলাম না! তোমাকে ইন্টারভিউ দিয়ে তারপর ছুটি।’ বিশ্বকাপ শেষ করে বাংলাদেশ দল ফিরে গেছে দেশে। সিডন্স রয়ে গেছেন অ্যাডিলেডে পরিবারের সঙ্গে কয়েকটা দিন কাটাবেন বলে। ভারত সিরিজের আগে ফিরে যাবেন ঢাকায়।
ঠোঁটকাটা মানুষ সিডন্স। যেটা ঠিক মনে করেন বলে ফেলেন। সে কারণেই হয়তো বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকের সঙ্গে তাঁর মত মিলছে না। যার অন্যতম বাংলাদেশ দলের নিজেদের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার তৃপ্তি।
সিডন্সের কাছে এই দুই ম্যাচ জয় আসলে একটা সংখ্যামাত্র। নইলে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারানোতে এমন কিছু বাহাদুরি নেই। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জেতারই কথা। না জিতলেই বরং অস্বাভাবিক হতো।
বিশ্বকাপের আগে রাসেল ডমিঙ্গোকে সরিয়ে শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট করা, দল নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা—সব নিয়েই অস্ট্রেলিয়ান কোচের দ্বিমত আছে মনে হয়েছে। এই প্রতিবেদককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসবই ফুটে উঠেছে।
বিশ্বকাপের আগে কোচ বদল নিয়ে তাঁর কথা, ‘যেটা হয়েছে বা যেভাবে হয়েছে, সেটা খুব ইন্টারেস্টিং।’ সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য বলেছেন, ‘কেউ নিশ্চয়ই ভেবেছে এটা করলে ভালো হবে বা এটা করা দরকার, সে জন্যই হয়েছে। এ নিয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।’
দল নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়েও সিডন্সের অস্বস্তি আছে। বিশেষ করে ব্যাটিং কোচ হিসেবে তিনি চান অন্তত ব্যাটসম্যানদের ব্যাপারে তাঁর মতামতটা নেওয়া হোক। ব্যাটিং কোচ হলেও বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সেই বেশি অসন্তুষ্ট সিডন্স।
তাঁর অসন্তুষ্টি আছে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের আউট নিয়েও। বলেছেন, ‘টেলিভিশন রিপ্লে দেখে মাঠে সেদিন সবাই বলেছে কোনোভাবেই ওটা আউট ছিল না। কোনো কারণে তারপরও তাকে আউট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দলকে সেটাই পেছনে ঠেলে দিয়েছে।’
* পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকালের ছাপা কাগজ ও অনলাইনে