২৮১-টেস্ট ক্রিকেটে এটাকে মায়াবী এক লক্ষ্যই বলা যায়! মনে হয় খুব কাছে, আবার অতটা কাছেও নয়। ২০০৫ সালের স্মরণীয় অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের কথাই ধরা যাক। এই এজবাস্টনেই জিততে হলে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হতো ২৮২ রান। ২৭৯ রানে গিয়ে থেমে হেরেছিল তারা ২ রানে। এবার কী করবে অস্ট্রেলিয়া? এবারের অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ২৮১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অস্ট্রেলিয়া মোট সময় পেয়েছে ৪ সেশন। এর মধ্যে একটি সেশন আজ খেলে ফেলেছে তারা। আজ চতুর্থ দিনের খেলা অস্ট্রেলিয়া শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১০৭ রান তুলে। আউট হয়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার (৩৬), মারনাস লাবুশেন (১৩) ও স্টিভ স্মিথ (৬)।
জয়ের জন্য আগামীকাল শেষ দিন অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ১৭৪ রান, ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৭ উইকেট। আগামীকাল অবশ্য এজবাস্টনের খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল বৃষ্টি হতে পারে সেখানে।
এজবাস্টনে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। গত বছর ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে তারা ৩৭৮ রান করে জিতেছে ৭ উইকেট হাতে রেখে। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টনে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে ২৮১ রানের জয়ের লক্ষ্য প্রোটিয়া অর্জন করেছে ৫ উইকেট হাতে রেখে।
অস্ট্রেলিয়াকে এবার হয়তো আরও বেশি রানের লক্ষ্য দিতে পারত ইংল্যান্ড। এক অর্থে বহুল আলোচিত ‘বাজবল’ ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের অনেকেই নিজেদের সর্বনাশ করেছেন। জো রুটের কথা ধরা যাক, দিনের প্রথম বলেই স্কুপ খেলেছেন তিনি। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই আউট হয়ে ফিরেছেন ৫৫ বলে ৪৬ রান করে। নাথান লায়নের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি।
আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হয়েছেন হ্যারি ব্রুক-ওলি পোপরাও। লায়নের বলে ব্রুক আউট হয়েছেন ৫২ বলে ৪৬ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর রুট আর ব্রুকের এই ৪৬ রানই। এ ছাড়া অধিনায়ক বেন স্টোকস আউট হয়েছেন ৬৬ বলে ৪৩ রান করে। তাঁকে এলবিডব্লুর শিকার বানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
বাজবলই অবশ্য আবার ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬.২ ওভারে ২৭৩ রান তুলতে সাহায্য করে। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেই শেষ ৪ উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন নেন ৪টি করে উইকেট।