আবারও কি স্পিন–সহায়ক উইকেটের দিকে যাচ্ছে ভারত? হায়দরাবাদে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিন ফাঁদ পেতে ভারতই সেই ফাঁদে পড়েছিল। বিশাখাপট্টনামে স্পিনারদের জন্য বাড়তি কিছু ছিল না।
রাজকোটের উইকেট ছিল অনেকটাই ব্যাটিং–সহায়ক, স্পিন ধরেছে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে। এবার রাঁচিতে হয়তো আবারও স্পিন–সহায়ক উইকেটই বানাচ্ছে ভারত। ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের কথা শুনে তেমন আভাসই মিলেছে।
স্টোকস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন এক যুগ ধরে। ১০০ টেস্ট খেলে ফেলার পাশাপাশি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। এই লম্বা ক্যারিয়ারে নাকি রাঁচির উইকেটের মতো এমন কিছু কখনো দেখেননি।
রাঁচির উইকেট দেখে স্টোকস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এমন কিছু এর আগে দেখিনি। আমার কোনো ধারণাই নেই, জানি না, এখানে কী হতে পারে। একদিক থেকে অন্যদিকে তাকালে এটাকে (উইকেট) ভিন্ন রকম মনে হয়, ভারতে এমনটা দেখে আমরা অভ্যস্ত নই। ড্রেসিংরুম থেকে এটাকে সবুজ ও ঘাসের ছোঁয়া আছে বলে মনে হয়, কাছে গেলে আবার অন্য রকম। খুবই কালচে ও ঝুরঝুরে, আর কিছু ফাটলও আছে।’
চলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলছেন স্টোকস। তবে রাঁচিতে অলরাউন্ডার স্টোকসের দেখা মিলতে পারে। তবে বোলিং করবেন কি না, সে বিষয়ে এখন নিশ্চিত নন স্টোকস, ‘আমি অপেক্ষা করব, দেখব পরিস্থিতি কেমন। গত ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বল এবারই (অনুশীলনে) করেছি, দেখি কী হয়।’
রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ভারতের দেওয়া ৫৫৭ রান তাড়া করতে নেমে কাল মুখ থুবড়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ৪৩৪ রানে, যা গত ৯০ বছরের মধ্যে টেস্টে রানের হিসাবে তাদের সবচেয়ে বড় হার। এরপর ইংল্যান্ডের খেলার ধরন নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। এমন সমালোচনায় বিস্মিত নন স্টোকস, ‘এটা খেলাধুলা। ভালো করলে প্রশংসা মেলে, ভালো না করলে বাজে কথা শুনতে হয়। খেলারই অংশ এটি। এসব বোঝার মতো যথেষ্ট সময় ধরে খেলছি আমি। তবে আমরা চালিয়ে যাব।’
ভারত এই টেস্টে বিশ্রাম দিয়েছে যশপ্রীত বুমরাকে। হয়তো দলের প্রধান পেসারের অনুপস্থিতির কারণেই ভারত আবার স্পিন–সহায়ক উইকেট বানাবে। এই টেস্টে ইংল্যান্ডও একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে। একমাত্র পেসার হিসেবে দেখা যেতে পারে ওলি রবিনসনকে। একাদশে ফিরতে পারেন শোয়েব বশির। রাঁচিতে আগামীকাল শুরু হবে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২–১ ব্যবধানে ভারত এগিয়ে।