আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ হাজারের বেশি রান ও প্রায় ছয় শ উইকেট (৫৭৭)। অনেকের মতে, তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। কেন আধুনিক ক্রিকেটে তেমন অলরাউন্ডার দেখা যাচ্ছে না?
এ প্রশ্নের উত্তর প্রোটিয়া কিংবদন্তি ক্যালিসের চেয়ে ভালো আর কেইবা দিতে পারবেন। ভারতের একটি সংবাদ সংস্থায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলরাউন্ডার কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় সামনে এনেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।
একজন অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স শুধুই ব্যাটিং-বোলিং করতে পারার সামর্থ্যের ওপরই নির্ভর করে না। তাঁর ফিটনেসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, হতে পারে শত রানের ইনিংস খেলে দলকে দারুণ এক সংগ্রহ এনে দেওয়ার পর আবার নতুন বলে তাঁকেই দলের প্রয়োজন হচ্ছে।
ক্রিকেট ম্যাচের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতেই ক্যালিস অলরাউন্ডার কম উঠে আসার কারণ হিসেবে দেখছেন। সাক্ষাৎকারে ক্যালিস বলেছেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। অলরাউন্ডার প্রতিদিন আসে না। ইতিহাসেও খুব বেশি নেই। অনেক কিছু দায়ী, ক্রিকেটের পরিমাণও ভূমিকা পালন করেছে।’
আইপিএলে গত মৌসুম থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ পদ্ধতি। এর আগে ছিল সুপার সাব, ২০২০-২১ মৌসুমে বিগ ব্যাশে ছিল এক্স-ফ্যাক্টর প্লেয়ার। এসব পদ্ধতির মূল ধারণা একই—দ্বাদশ ক্রিকেটার। দলগুলো চাইলে ১২তম ক্রিকেটারকে খেলাতে পারবে। অর্থাৎ দলগুলো চাইলে ম্যাচের ভেতরে খেলোয়াড় বদলাতে পারবে।
এ পদ্ধতি আইপিএলে চালু হওয়ার পরই দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং বলেছিলেন, এর মাধ্যমে অলরাউন্ডারদের প্রভাব কমবে। বাড়বে বিশেষ খেলোয়াড়দের কদর, ‘এখন আর একাদশে অলরাউন্ডার নিতে হবে না। ব্যাটিং বা বোলিংনির্ভর একাদশ বানালেই চলবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে একজনের জায়গায় আরেকজনকে নামাতে হবে।’
ক্যালিসও অলরাউন্ডার কম আসার পেছনে এ নিয়মের দায় দেখছেন, ‘কিছু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় বদল করার নিয়ম আছে। আমি এ পদ্ধতির খুব একটা ভক্ত নই, এই পদ্ধতি দলে অলরাউন্ডারের জায়গা নিয়ে নেয়। যে দলে অলরাউন্ডার ক্রিকেটার নেই, তারা ১২ জন নিয়ে খেলে। আমি এটার খুব বেশি ভক্ত নই।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য এরই মধ্যে ভারত ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে গেছে। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজে ওয়ানডে ও টেস্টও খেলবে। এ সফরের টেস্ট সিরিজ নিয়ে কথা বলেছেন ক্যালিস। তিনি বলেছেন, ‘এই ভারত দল ভালো, তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় হারানো কঠিন। সেঞ্চুরিয়ান হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে সাহায্য করবে আর নিউল্যান্ড সম্ভবত ভারতকে। এটা দারুণ একটা সিরিজ হবে। একটি বা দুটি সেশনে একদল অন্য দলের চেয়ে ভালো খেলবে। খুবই হাড্ডাহাড্ডির সিরিজ হবে।’