ভারতের অনুশীলনে কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা
ভারতের অনুশীলনে কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা

ভারতের সামনে এখনো অনেক পথ, মনে করিয়ে দিলেন দ্রাবিড়

ইডেন গার্ডেনে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। হার্দিক পান্ডিয়ার বাদ পড়া এবং দলের পরিস্থিতি নিয়ে দুটি প্রশ্নের পর তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল কথিত ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ নিয়ে। কথিত ফাইনাল?

প্রশ্নকারী সংবাদকর্মীই বলেছেন, আগামীকাল ইডেনে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকেই। দ্রাবিড় কি ভাবছেন?

ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’খ্যাত দ্রাবিড় নিপাট ভদ্রলোক। অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা এড়িয়ে চলেন। দ্রাবিড় তাই মাটিতেই পা রেখে স্মরণ করিয়ে দিলেন, ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে ফাইনালের টিকিটটা কিন্তু এখনো নিশ্চিত হয়নি। দুই দলকেই তা অর্জন করে নিতে হবে। তবে সংবাদকর্মীটি যা ভেবে এই ম্যাচকে ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ বলেছেন, তা–ও একেবারে ভিত্তিহীন নয়।

বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিল বলছে—৭ ম্যাচের সব কটি জিতে মোট ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ ম্যাচে হেরেছে মাত্র ১টি, বাকি ৬ ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। বাকি ৮টি দলই হেরেছে একাধিক ম্যাচ। অর্থাৎ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিচারে সেরা দুটি দলই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন দুই দলের ম্যাচকে আবেগের বশে কেউ কেউ ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ বলতেও পারেন। কিন্তু দ্রাবিড়ের সে আবেগে ভেসে যাওয়ার সুযোগ নেই। একে তো আয়োজক দেশের কোচ, তার ওপর দলটার নাম ভারত—বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হওয়া যাঁদের চোখে এখন ব্যর্থতা। দ্রাবিড় নিজের দায়িত্বটা জানেন বলেই এসব কথায় কান দিলেন না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনে ভারত

দ্রাবিড়ের সোজা কথা, বাইরের কথায় কান দিচ্ছি না, ‘কে কী বলল, তা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা শুধু এই ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। এটা টুর্নামেন্টের লিগ ম্যাচ। এখনো হাতে দুই থেকে তিনটি ম্যাচ আছে। আর যে দলই হোক, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা আমরা—আহমেদাবাদে যাওয়ার যোগ্যতাটা কিন্তু আমাদের অর্জন করতে হবে।’ দ্রাবিড় এরপর আরেকটু ব্যাখ্যা করলেন, ‘আমরা এখনই (ফাইনাল) এসব নিয়ে ভাবছি না। আগেও বলেছি, ম্যাচটাকে লিগের আরেকটি ম্যাচের মতোই দেখছি। আর সেটি এমন দলের বিপক্ষে, যারা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে।’

চোটের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন ভারতের পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর জায়গায় পেসার প্রসিধ কৃষ্ণকে দলে নেওয়া হয়েছে।

তিলক ভার্মা থাকতেও প্রসিধ কেন—এই প্রশ্নের উত্তরে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘হার্দিক বেশ কয়েক ম্যাচেই চোটের কারণে বাইরে ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও কিছু ম্যাচ খেলতে পারেনি। তিন ফাস্ট বোলার ও দুজন স্পিনার নিয়ে আমরা দলের মধ্যে সমন্বয় করেছি। আর রিজার্ভে আমাদের ব্যাকআপ স্পিনার, ব্যাকআপ বোলিং এবং ব্যাকআপ অলরাউন্ড বোলিং ক্যাটাগরির খেলোয়াড় আছে। আমরা ভেবেছিলাম বর্তমান দলীয় সমন্বয়ে কেউ চোটে পড়লে সে জন্য ব্যাকআপ থাকতে হবে। আর সে জন্য অন্য সমন্বয়ে খেলতে হবে, যেটা আমরা পারি। তবে আমরা এখন যে সমন্বয়ে খেলছি, সে বিচারে হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প নেই।’