চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। রাজস্থান রয়্যালসের ১৪১ রান তাড়া করতে নেমে সহজ জয়ের পথেই ছিল চেন্নাই। কিন্তু হঠাৎই নাটকীয়তা। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবীন্দ্র জাদেজার মধ্যে রান নেওয়া নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি, একপর্যায়ে জাদেজা অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট!
জাদেজার সৌজন্যে পাঁচ বছর অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট দেখল আইপিএল। সর্বশেষ এমনটা ঘটেছিল ২০১৯ সালে, হায়দরাবাদের বিপক্ষে দিল্লির অমিত মিশ্রর ক্ষেত্রে। জাদেজার অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড ফিরিয়ে আনার ম্যাচে সহজ জয়ই পেয়েছে চেন্নাই। ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই এবারের আসরের সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে চেন্নাই।
জাদেজা ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছেন ইনিংসের ১৬তম ওভারে। ততক্ষণে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে ১২০ রান উঠে গেছে। জাদেজা আবেশ খানের বল থার্ড ম্যানে ঠেলে দৌড় শুরু করেন। কিন্তু অপর প্রান্তে গায়কোয়াড় ছিলেন দ্বিধায়। এ নিয়ে দুজনের ভুল–বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে জাদেজা যাচ্ছিলেন নন–স্ট্রাইকিংয়ের দিকে।
রাজস্থান উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন বল হাতে নিয়ে থ্রো করেন, যা জাদেজার গায়ে লেগে দিক পাল্টায়। রাজস্থান আউটের আবেদন করলে রেফারিও সাড়া দেন। জাদেজা ঘোরার সময় বলের গতিপথ দেখেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই বল স্টাম্পে যাওয়া আটকেছেন—রিপ্লে দেখে এমনটা নিশ্চিত করেন তৃতীয় আম্পায়ার।
বল আটকে দেওয়ার দায়ে ৭ বলে ৫ রানে আউট হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্য জাদেজাকে বেশ অসন্তুষ্টই মনে হয়েছে।
আইপিএলে এটি তৃতীয় ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডে’র ঘটনা। অমিত মিশ্রর আগে ২০১৩ সালে এমন ঘটনায় জড়িয়েছিলেন কলকাতার ইউসুফ পাঠান।
জাদেজার আউট বাদ দিলে ম্যাচের বাকি সময়ে নাটকীয়তা ছিল কমই। রিয়ান পরাগের ৩৫ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে রাজস্থান তোলে ৫ উইকেটে ১৪১ রান। চেন্নাইয়ের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন সিমারজিত সিং।
রান তাড়ায় অধিনায়ক গায়কোয়াড়ের ব্যাটে চাপহীনভাবেই জয়ের দিকে এগিয়েছে চেন্নাই। গায়কোয়াড় ৪১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।
১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে চেন্নাই। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে–অফ নিশ্চিত করে নিয়েছে।