>বিপিএলের ইতিহাসে আজ প্রথম কোনো ম্যাচ গেল সুপার ওভারে। টান টান উত্তেজনা পেরিয়ে জয়ের হাসি শেষ পর্যন্ত জিতেছে চিটাগং। সুপার ওভারে জিততে দুই দলই আস্থা রেখেছে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর
ঢাকা-রংপুরের পর আজ চিটাগং ভাইকিংস-খুলনা টাইটানসের সৌজন্যে আরেকটি জমজমাট ম্যাচ দেখল বিপিএল। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম কোনো ম্যাচ গেল সুপার ওভারে। টান টান উত্তেজনা পেরিয়ে জয়ের হাসি শেষ পর্যন্ত হেসেছে চিটাগং।
সুপার ওভার মানেই ক্রিকেটীয় দক্ষতার সঙ্গে স্নায়ুর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে আজ দুই দলের টিম ম্যানেজমেন্টই আস্থা রেখেছে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর। চিটাগং যেমন ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছে ক্যামেরন ডেলপোর্ট আর রবি ফ্রাইলিঙ্ককে। খুলনা বোলিংয়ের ভারটা দিয়েছে জুনায়েদ খানকে। ফ্রাইলিঙ্ক আউট হলে চিটাগংয়ের মুশফিকুর রহিম না নামলে সুপারওভারটা পুরো বিদেশিদেরই বলা যেত। চিটাগংয়ের বোলিং করেছেন ফ্রাইলিঙ্ক। আর ব্যাটিংয়ে খুলনার সুপার ওভার সামলেছে পল স্টার্লিং, ডেভিড ম্যালান আর কার্লোস ব্রাফেট।
সুপার ওভার সামলাতে পুরোপুরি বিদেশি-নির্ভর হওয়া মানে স্থানীয়দের ওপর আস্থা নেই! এ নিয়ে খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাখ্যা হচ্ছে, ‘এটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। আমার কাছে মনে হয়েছে স্টার্লিং অফ সাইডে খুব ভালো, ম্যালানও ভালো। আমরা সবাই ব্রাফেটের ব্যাপারে জানি। সব মিলিয়ে তাদের নির্বাচন করা হয়েছে। তিন নম্বরে আমিও যেতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে স্টার্লিং বেশি ভালো। এই তিন অপশনে আমরা গিয়েছিলাম। এখানে মানিয়ে নেওয়ার কথা বললে, সুপার ওভারে “কোপ আপে”র কিছু নেই। এখানে কোপাও অপশনে যেতে হবে।’
মাঠে বোলারের ওপর হতাশ হয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে রেগেও যেতে দেখা গেছে বেশ কবার। শান্ত মেজাজের খুলনা অধিনায়ককে মেজাজ হারাতে সাধারণত দেখা যায় না। দল টানা হারছে, চাপ বাড়ছে, মেজাজ ঠান্ডা রাখা কঠিনই। যদিও মাহমুদউল্লাহ মনে করেন চাপ সামলানো মোটেও কঠিন মনে হচ্ছে না তাঁর, ‘চাপ তো গত ১১-১২ বছর ধরে অনেক নিয়েছি। হয়তো আজ কিছুটা উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কাজটা উচিত হয়নি। এটা হয়তো খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব ফেলে। চেষ্টা করব সামনে শান্ত থাকার।’