>সাকিব আল হাসানকে নিয়ে লিখেছেন তাঁর স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে আমাদের সফরটা বেশ রোমাঞ্চকর হয়ে উঠছে। ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে সুন্দর। আমরা উপভোগ করছি।
এই তো আমি, আমাদের মেয়ে আলায়না আর আমাদের মারিও ভিল্লাভারায়নের (বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ) স্ত্রী দিন্নি এখানে স্ট্রবেরি খামার ঘুরে এলাম। আলায়না খুবই খুশি। স্ট্রবেরি খেতে পেয়ে যত-না খুশি, তার চেয়ে বেশি খুশি স্ট্রবেরির ছবি তুলতে পেরে। সাকিব এবারের বিশ্বকাপে ভালো করছে, আমিও তা উপভোগ করছি। একটি বাদে সব খেলাই মাঠে গিয়ে দেখেছি। দুই দিন সাকিব সেঞ্চুরি করেছে। মাঠে গিয়ে খেলা দেখা আমিও খুব উপভোগ করি। তবে আমার চেয়ে বেশি খুশি হয় আলায়না।
বাংলাদেশ দলের সব খেলোয়াড়ের মনোভাবই এবার এক রকম-ভালো খেলতে হবে, সেমিফাইনালে যেতে হবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচের দিন বৃষ্টি হওয়ায় সবারই মন খারাপ ছিল। তবে ওই দিন সাকিবের চোট (ইনজুরি) ছিল। খেলা নিয়ে আমি সাকিবকে বেশি কিছু বলি না। সাকিবও আমাকে তেমন কিছু বলে না। শুধু আমি বলি ফিফটি করলে শতরান করতে হবে। ও যখন ৭০-৮০ রান করে আউট হয়, তখন আমার মন খারাপ হয়। আমি বলি সেঞ্চুরি করতে। আরও বলি ফিফটিকে সেঞ্চুরি বানাতে হবে।
সাকিব সত্যিই ভালো করছে। আজ (গত সোমবার) তো আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫টি উইকেট নিল সাকিব। তার আগে করল অর্ধশত। এমন রেকর্ড তো এর আগে করেছেন শুধুই একজন (যুবরাজ সিং, ভারত)। বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম ১ হাজার রান করেছে সাকিব। আবার বিশ্বকাপে ১ হাজার রান ও ৫০ উইকেট শুধুই সাকিবের দখলে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটি আমি মাঠে বসে দেখতে পারিনি।
বিশ্বকাপে সাকিবের এমন খেলায় আমরা সবাই খুশি। শুধু আমরাই নই, আমি জানি বাংলাদেশের প্রত্যেকেই খুশি। সাকিবের সাফল্যে, বাংলাদেশ দলের বিজয়ে। তবে এসব আনন্দ উপভোগ করার সময়ও তেমন একটা নেই। এখনই আবার স্যুটকেস গোছাতে হবে। আবার শহর থেকে আরেক শহর, এক হোটেল থেকে আরেক হোটেল।
সব মিলিয়ে এবার আমার বিশ্বকাপ দারুণ লাগছে। সাকিবের ফর্ম এবার বেশ ভালো। তবে সাকিব বলে, ‘আমি চাই দলের জন্য অবদান রাখতে। আমার কারণে যেন দল জেতে।’
দলের জয়টাই ওর কাছে বড়। নিজের রেকর্ডের দিকে সাকিবের খেয়াল নেই। ওর একমাত্র নজর বাংলাদেশের বিজয়ের দিকে।
আমরাও সেটা চাই-
সাকিব ভালো করুক
বাংলাদেশ জয়লাভ করুক।