যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ৭০ লাখ ভারতীয় তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন বলে নিজেই আলোচনা জমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বাস্তবে তা না হলেও আলোচনার কমতি ছিল না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম মোতেরার সরদার প্যাটেল স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা লম্বা এক ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। আর সে ভাষণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুগিয়েছে হাসির খোরাক।
১ লাখ ১০ হাজার আসনের সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে নিজের বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে অনেকটাই গুরুত্বহীন ক্রিকেট খেলা নিয়ে যে একটু পড়াশোনা করে এসেছেন, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলির নাম বলে। ঝামেলাটা হয়েছে তাঁদের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে, ‘এটাই সে দেশ, যেখানে বিশ্বের সেরা সব ক্রিকেটার শুচীন টেন্ডুলকার থেকে বিরাট কুহলিদের নিয়ে আপনারা উল্লাস করেন।’
ব্যস্, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেটে পড়েছে এ নিয়ে। অনেকেই ক্রিকেট দেখেন না বলে ট্রাম্পের এ উচ্চারণ মাফ করে দিতে চাইছেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন, ইংরেজিতে ‘এ’ কীভাবে একজন ‘ডাবল ও’ হিসেবে উচ্চারণ করেন? স্বয়ং কেভিন পিটারসেন এ নিয়ে টুইট করেছেন, বলেছেন কিংবদন্তিদের নাম একটু পড়াশোনা করে উচ্চারণ করা উচিত।
কিংবদন্তিদের নামের বেলায় ট্রাম্পের পরের ভুল অবশ্য গ্রহণযোগ্য। প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের সামনে বক্তৃতাকালে ভারত সম্পর্কে নিজের জানাশোনা জানিয়েছেন। দেশটির রাজনীতি, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মবাদ নিয়ে কথা বলেছেন। মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ চলচ্চিত্রের প্রশংসাও করেছেন। একপর্যায়ে স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁর একটি উক্তি সবাইকে শুনিয়েছেন। তবে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছেন। বলেছেন ‘স্বামী বিবেকা–মু–নান্ড!’
ট্রাম্পের মতো একজনকে স্বামী বিবেকানন্দের মতো কঠিন শব্দ উচ্চারণ করানোর চেষ্টাতেও ভুল দেখছেন অনেকে। টুইটারে একজন লিখেছেন, ‘কার মাথায় এসেছে যে ট্রাম্পকে দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের নাম এভাবে মঞ্চে উচ্চারণ করাটা ভালো হবে?’
ট্রাম্পের ভারত সফর দুই দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে কেমন প্রভাব পড়বে, সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। তবে সাধারণ মানুষ যে হাসির খোরাক পেল, এটাই-বা কম কী!