'শর্ট অব ব্রেইন' মন্তব্যই তাতিয়েছে স্যামিদের

নিকোলাসের ওই মন্তব্যটাই তাতিয়ে দিয়েছিল স্যামিদের। ছবি:এএফপি।
নিকোলাসের ওই মন্তব্যটাই তাতিয়ে দিয়েছিল স্যামিদের। ছবি:এএফপি।

একদিক দিয়ে ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাসকে ধন্যবাদই দেবেন ড্যারেন স্যামি। ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের বুদ্ধিবৃত্তি নিয়ে তেতো মন্তব্যটা করেই তো ব্রাভো-গেইলদের আবেগটা উসকে দিলেন নিকোলাস। আর সেই আবেগকে শক্তিতে পরিণত করেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতার প্রান্তে দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

স্যামি নিজেই বলেছেন, নিকোলাসের ওই মন্তব্যটা তাদের একেবারেই ভালো লাগেনি। মন্তব্যটা ছিল অপমানসূচক। মন্তব্যটিই শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দারুণ পারফরম্যান্সের অনুষঙ্গ হয়েছে।

কী বলেছিলেন নিকোলাস? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগত বিশ্লেষণে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের ‘তুলনামূলক কম বুদ্ধিবৃত্তির ক্রিকেটার’ তকমা দিয়ে দিয়েছিলেন।

স্যামি কাল ফাইনাল-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে এই মন্তব্য নিয়েই নিজের ক্ষোভের কথাটা বলে ফেললেন, ‘কাউকে কম বুদ্ধিবৃত্তির বলা ঠিক নয়। আমরা তো মানুষ, কোনো বস্তু নই।

এমনকি পশু-পাখিরও বুদ্ধি আছে। উনি কীভাবে, কী মনে করে এমন কথা বলেছিলেন, আমার জানা নেই। তবে তাঁর এই মন্তব্যটি আমাদের তাতিয়ে দিয়েছিল। নিকোলাসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। যে দলটা চার বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে, দুই বছর আগে এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে খেলেছে, তাদের কম বুদ্ধির দল হিসেবে আখ্যায়িত করাটা মোটেও কাজের কথা নয়।’

স্যামি বলেছেন, ‘বিধাতা কোনো খারাপ জিনিস পছন্দ করেন না। সে কারণেই আমরা পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। আমরা সবাই তাঁর সুন্দর সৃষ্টি। প্রতিযোগিতার আগে আমাদের নিয়ে যা যা বলা হয়েছে, আমাদের ঘিরে যা যা হয়েছে, সে জন্য আমাদের মধ্যে যে অপমানের, যে ক্ষুব্ধতার জন্ম হয়েছে, সেটা থেকেই প্রেরণা নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা দারুণ খেলে প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছি। আমাদের চূড়ান্ত সাফল্য পেতে আর মাত্র একটি ধাপ অতিক্রম করা বাকি। আশা করছি, সেটাও আমরা সাফল্যের সঙ্গেই পেরিয়ে যাব।’ সূত্র: ক্রিকইনফো।