'ম্যারি মি' যেভাবে সামলান সাব্বির

ধর্মশালায় সেই তরুণীর প্ল্যাকার্ড
ধর্মশালায় সেই তরুণীর প্ল্যাকার্ড

রেস্তোরাঁ নয়, পার্কও নয়; মেয়েটি বিয়ের প্রস্তাব দিতে বেছে নিল ঠিক জনাকীর্ণ গ্যালারি। কোনো রাখঢাক না রেখেই উঁচিয়ে ধরল প্ল্যাকার্ড—‘ম্যারি মি সাব্বির!’


সাব্বির রহমানের সেটি দেখার সময় কোথায়? ধর্মশালায় হল্যান্ডের বিপক্ষে তখন তিনি ব্যস্ত ব্যাটিংয়ে। সাব্বির না দেখুন, টেলিভিশনের সৌজন্যে তরুণীর প্রস্তাব দেখল সহস্র-লক্ষ দর্শক। ক্যামেরায় যখন তাঁকে দেখাল, মুখে রাজ্য জয়ের হাসি!

মেয়েটি জেনে খুশি হতে পারে, সাব্বিরের চোখেও পড়েছিল প্ল্যাকার্ডটি। তো ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে কেমন লাগল? এক চোট হাসলেন সাব্বির, ‘আসলে ভক্তদের এসব ভালোবাসা-পাগলামি ভালোই লাগে। মাঠে যখন অনেক চাপ থাকে, তখন আমাদের সমর্থন দিতে আসা দর্শকদের দিকে মাঝে মধ্যে তাকাই। তখন স্নায়ুচাপ অনেকটা কমে যায়। খেলাটা অনেক উপভোগ্য মনে হয়। ধীরে ধীরে স্বচ্ছন্দ হয় উইকেটে। এসব ইতিবাচকভাবেই দেখি।’

কিন্তু সাব্বির সত্যি বিয়ে করছেন কবে? যেদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, নিশ্চিত কয়েক হাজার তরুণীর মন ভেঙে যাবে। সাব্বিরের সেই ভক্তদের জন্য সুখবর, এখনই এমন ভাবনা নেই এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানের। তা না হয় হলো। কিন্তু মেয়ে ভক্তদের এমন প্রস্তাব তো হরহামেশাই তাঁকে পেতে হয়। বিরাট এই ভক্তকুল সামলান কীভাবে? ব্যাটিংয়ের মতো এখানেও কিছু ‘টেকনিক’ অবলম্বন করেন বলেই জানালেন সাব্বির, ‘দলের সবার জন্য তো আর ‘“ম্যারি মি” লিখে আনে না! এগুলো মজা হিসেবে নিই। অনেকে এসএমএস হাই-হ্যালো পাঠিয়ে দেয়। আমিও সেভাবে জবাব দিই। কেউ সীমা ছাড়িয়ে গেলে তখন আর জবাব দিই না। কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে গেলে সেভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।’

ভক্তদের ভালোবাসা উপভোগ করেন সাব্বির। ছবি: প্রথম আলো

ভক্তদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের যোগাযোগের এখন বড় মাধ্যম ফেসবুক। কিন্তু ফেসবুকে একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলোয়াড়দের। অনুমতি না নিয়েই ইচ্ছে মতো ছবি-ভিডিও প্রকাশ, উল্টো-পাল্টা স্ট্যাটাস নিত্যই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি খেলোয়াড়ের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার দৃষ্টান্তও রয়েছে। সাব্বির তাই সতর্ক করছেন তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের, ‘বিষয়টি সত্যি বিভ্রান্তিকর। আমার ভেরিফায়েড ফ্যান পেজ থেকে বেশ কবার অনুরোধ করেছি ভুয়া আইডি থেকে সতর্ক থাকতে। সতর্ক না হলে আমার কী করার আছে বলুন!’

তাঁর প্রত্যাশা, ভক্তরা নিশ্চয় ‘আসল’ আর ‘নকল’ সাব্বিরের পার্থক্য বুঝবেন।