>আন্দ্রে রাসেলের খ্যাতিটা মূলত বিগ হিটিং এর জন্য, তবে পেস বোলিংটাও ভালোই পারেন। তবে নিজেকে মিডিয়াম পেসার মানতে নারাজ ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তোপ দাগার পর রাসেল জানিয়ে দিলেন, তিনি একজন ফাস্ট বোলার
হাঁটুর চোট থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপে ফিরেই দুর্দান্ত আন্দ্রে রাসেল। কাল ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ওভারের এক স্পেলে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট, একটি মেডেনও আছে। এমন দিনে নামের সঙ্গে মিডিয়াম ফাস্ট বোলার তকমাটি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ক্যারিবীয় এ অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে রাসেল সাফ জানিয়ে দিলেন, মিডিয়াম পেসার নয় তিনি একজন ফাস্ট বোলার।
বোলারদের তুলোধুনো করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য রাসেলের জুড়ি মেলা ভার। মূলত আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবেই খ্যাতি কুড়িয়েছেন। কিন্তু কাল সরফরাজদের বিপক্ষে তা আর প্রয়োজন হয়নি। ১০৬ রানের সহজ লক্ষ্যে গেইল একাই করলেন প্রায় অর্ধেক রান, ৭ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও বল হাতে ঠিকই তোপ দেগেছেন রাসেল। বাউন্সার দিয়েছেন একের পর এক। হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদই বলেছেন, রাসেলের ভয়ংকর স্পেলেই ঘুরেছে খেলার মোড়।
শুধু গতির ঝড় নয় বাউন্সার সহ ঝড় তুলেছিলেন রাসেল। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ফখর জামান ও হারিস সোহেলকে তুলে নিয়েছেন বাউন্সারে। মোট ১৮ বলের স্পেলে ১৫টি ডেলিভারিই ছিল খাটো লেংথের (৭টি শর্ট বাকি ৮টি শর্ট অব লেংথ)! ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির আশপাশেই সারাক্ষণ তোপ দেগেছেন রাসেল। এমন স্পেলের পর রাসেল নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। ঝেড়েছেন মনের ক্ষোভ, ‘আমি একজন ফাস্ট বোলার। অনেকেই বলেন আমি দলে শুধু একজন বিগ হিটার হিসেবেই থাকি, কিন্তু তারা ভুলে যান যে আমি একজন ফাস্ট বোলার। দিন শেষে আমি অন্তত তাদের দেখিয়েছি আমি ঘণ্টায় ৯০ মাইল গতিতে বল করতে পারি। আমার মতে আমার নামের পাশে তাদের কিছুটা হলেও সম্মান দেখানো উচিত।’
বোঝাই যাচ্ছে মিডিয়াম পেসার তকমাটি নিয়ে রাসেল বেশ বিরক্ত। তা ঘোচাতেই কাল রাসেল ভয়ংকর গতির সঙ্গে অনবরত শর্ট লেংথে বল করেছেন কি না, সেটি একটি প্রশ্ন। তবে নামের পাশে মিডিয়াম পেসার— তকমা নিয়ে বিরক্তির কথা রাসেল বলেছেন সোজাসাপ্টাই, ‘আসলে আমি খুবই বিরক্ত, আমার নামের পাশে মিডিয়াম পেসার সরিয়ে ফাস্ট বোলার লেখা উচিত।’
রাসেলের ঝোড়ো ব্যাটিং নিয়েই এত দিন বেশি ভীত ছিল প্রতিপক্ষ। ইংলিশ উইকেটে বোলিংয়ের মজা পেয়ে যাওয়ায় রাসেল একই অস্ত্র যে বাকি প্রতিপক্ষদের বিপক্ষেও কাজে লাগাবেন সে কথা বলাই বাহুল্য। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাউন্সার-বৃষ্টি নামানোর হুমকি তো দিয়েই রাখলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া পেস মোকাবিলায় ভালো। তবে আক্রমণাত্মক হলে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। ওরা পুল ও হুকে ভালো তবে জায়গামতো বাউন্সার দেওয়ার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। আমি কোনো কিছু পাল্টাব না। আক্রমণাত্মক বোলিং করে যাব।’