ইংলিশ কাউন্টিতে ভিটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন স্পিনার কলিন অ্যাকারম্যান। অথচ তিনি নিজেকে আগে ব্যাটসম্যান পরে বোলার হিসেবে দেখেন
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২১ ম্যাচে ১৭ সেঞ্চুরি আর ৪৬ ফিফটি। উইকেটসংখ্যা মাত্র ৫৮। আর টি-টোয়েন্টিতে ৯০ ম্যাচে ৩১ উইকেট। কাল ইংলিশ কাউন্টিতে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ভিটালিটি ব্লাস্টে মাঠে নামার আগে এই হলো কলিন অ্যাকারম্যানের পরিসংখ্যান। মূলত ব্যাটসম্যান আর বোলিংটা করেছেন ‘পার্ট টাইম’ হিসেবে। কিন্তু কাল অ্যাকারম্যান যা ঘটিয়েছেন তাতে ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর পরিচিতি ঢাকা পড়ে যাওয়ার কথা। ৪ ওভারে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লে এটাই তো স্বাভাবিক!
লিস্টারশায়ারের এ স্পিনার বার্মিংহাম বিয়ারসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য বোলিংই করেছেন। তৃতীয় ওভার করতে আসার আগে ১৩ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যাকারম্যান। তখন কে ভেবেছিল টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি লিস্টারশায়ার অধিনায়ক নতুন করে লেখাবেন। পরের দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে তাঁর শিকার আরও ৬ উইকেট! সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট নেন অ্যাকারম্যান। এ সংস্করণে কোনো বোলার কখনোই ৭ উইকেট নিতে পারেননি। ত্রিশ জনের বেশি বোলার ৬ উইকেট নিয়েছেন কিন্তু ৭ উইকেট নেওয়ার নজির এই প্রথম।
স্বাভাবিকভাবেই লিস্টারশায়ারের ৫৫ রানের জয় ছাপিয়ে গেছে অ্যাকারম্যানের বিশ্ব রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি ছিল মালয়েশিয়ার স্পিনার আরুল সুপিয়াহর। ২০১১ সালে এই ইংলিশ কাউন্টিতেই ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টিতে ৩.৪ ওভারে ৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সুপিয়াহ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড অজন্তা মেন্ডিসের। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এ স্পিনার।
অ্যাকারম্যানের নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না যে এ সংস্করণে এক ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এখন তাঁর দখলে। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘লাখো বছরেও এটা বিশ্বাস হবে না—নিজেকে সব সময় ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবেই দেখেছি। নিজের উচ্চতা ব্যবহার করে বাউন্স আদায়ের চেষ্টা করেছি। মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার বাঁক নিলেও তা কাজে লেগেছে।’