>ম্যাচ ফিক্সিং থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দূরে রাখতে এটিকে ফৌজদারী অপরাধের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন পিসিবি সভাপতি এহসান মানি
২০১০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে আমির-আসিফদের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকে। ওই ঘটনায় জড়িতরা বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। সাজা ভোগ করে মোহাম্মদ আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানো হয়নি বাট ও আসিফের।
এর আগেও নব্বইয়ের দশকে ম্যাচ পাতানো নিয়ে বিচার বিভাগীয় কাইয়ুম কমিশনের তদন্তে সংশ্লিস্টতা প্রমাণিত হয়েছে ফাস্ট বোলার আতাউর রহমান ও সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিকের। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে নাসির জামশেদ, শারজিল খানের মতো অনেক ‘ফিক্সার’কেই চিহ্নিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
তবে ম্যাচ পাতানোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিসিবির ক্ষমতাকে খুবই সীমিত মনে করেন এহসান মানি। চাইলেই সন্দেভাজন কোনো ক্রিকেটারের ব্যাংক হিসাবে অর্থের লেনদেন খতিয়ে দেখা যায় না। তাই পাকিস্তানে ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারী অপরাধের আওতায় নিয়ে আসার তাগিদ দিলেন আইসিসির সাবেক ও পিসিবির বর্তমান এ সভাপতি।
পিসিবির টুইটারে এক ভিডিও বার্তার মানি বললেন, ‘আইসসির নির্দেশনা মেনে চলতে হয় আমাদের। আমি মনে করি ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারী অপরাধের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার আইনে এটা ফৌজধারী অপরাধ। (পাকিস্তানেও ) এটা করার জন্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব আমি।’
ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারী অপরাধের আওতায় নিয়ে এলে বিভিন্ন সংস্থা তাৎক্ষনিকভাবে ক্রিকেটারদের ব্যাংক হিসাবে টাকার লেনদেন খতিয়ে দেখতে পারবে বলে যুক্তি মানির, ‘সমস্যাটা হলো ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় পিসিবির কোনো আইনী ক্ষমতা নেই। আমরা ক্রিকেটারদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন যাচাই করতে পারি না। যদি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের আইন থাকে, তাহলে বিভিন্ন সংস্থা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে।’