এশিয়া কাপ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এতে ভারতের কোনো ক্ষতি যে হয়নি, সেটি শিরোপা জিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন রোহিত শর্মারা। তবে কোহলির অনুপস্থিতি একটি বিষয় জানিয়ে দিয়েছে। ভারত দলে মহেন্দ্র সিং ধোনির গুরুত্ব কমেনি এক বিন্দু। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে এখনো সেরাদের একজন ধোনি। সে সঙ্গে ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝতে পারা, সে অনুযায়ী বোলারদের ডেকে আনা আর ফিল্ডিং সাজানোর ক্ষমতায় ধোনি নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
এমন পারফরম্যান্সের পরও দলে ধোনির জায়গা নিশ্চিত এটা বলা যাচ্ছে না। সঞ্জয় মাঞ্জরেকারই যেমন ৩৭ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষকের বদলি খুঁজতে বলছেন বিসিসিআইকে। কারণটা অবশ্য অনুমেয়। এশিয়া কাপেই বোঝা গেছে, ব্যাট হাতে ধোনি আর ভয় জাগান না। দলের ইনিংসের শেষভাগে পুরো দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসার কাজটা আর পারছেন না। এ জন্য সমর্থকদের মধ্যে সমালোচনা চলছে। ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো সাবেক খেলোয়াড়ও ধোনিকে ব্যাটিংয়ে আরও ভালো করার পরামর্শ দিয়েছেন। মাঞ্জরেকার অবশ্য সে কথা বলছেন না।
মাঞ্জরেকার সমর্থকদের বলছেন ধোনির ওপর থেকে প্রত্যাশা একটু কমিয়ে নিতে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ধোনির থাকা উচিত কি না এ প্রসঙ্গে মাঞ্জরেকার বলেছেন, ‘অবশ্যই (থাকা উচিত) কিন্তু আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এ পর্যায়ে ধোনি আর বিশ্বসেরা নয় (ফিনিশার হিসেবে)। তাঁকে আরও পরে নামানো উচিত। এশিয়া কাপ ফাইনালে কেদার যাদবের আগে ওর নামা ঠিক হয়নি। কেদার ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান, পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান। ব্যাটসম্যান ধোনির কাছ থেকে প্রত্যাশা কমিয়ে ফেলুন।’
উইকেটরক্ষক ধোনির ওপর এখনো আস্থা আছে মাঞ্জরেকারের। এশিয়া কাপের ফাইনালেই দুটো স্টাম্পিং করেছেন ধোনি। মোহাম্মদ মিঠুনের আউটেও তাঁর দেওয়া দ্রুত সিদ্ধান্ত ভূমিকা রেখেছেন। মাঞ্জরেকার তাই উইকেটরক্ষক ধোনির প্রশংসা করছেন। তবু ভারতকে বলছেন, সম্ভব হলে ব্যাটিংয়ের জন্য হলেও ধোনির বিকল্প খুঁজে বের করতে, ‘ধোনি খুব ভালো কিপার। এখনো তাঁর দিকে সুযোগ এলেই সে স্টাম্পিং করে, ভরসা রাখার মতো এক কিপার। বিশ্বকাপের চাপে বিরাট কোহলিরও একজন সঙ্গী দরকার, ধোনির অনেক অভিজ্ঞতা। কিন্তু ওর ব্যাটিং নিঃসন্দেহে এখন প্রশ্নবিদ্ধ। ভারতের যদি ধোনির বিকল্প দুর্দান্ত কাউকে পাওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে এখনই খোঁজ শুরু করা উচিত।’