>সঞ্জয় মাঞ্জরেকার স্বীকার করেছেন ২০১৯ সাল ছিল তাঁর ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বছর
প্রায়ই নানা বিতর্কে জড়ান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হন ট্রলের শিকার। ২০১৯ সালে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি হয়েছে বারবারই। পরিণত হয়েছেন একজন অজনপ্রিয় ক্রিকেট ভাষ্যকারে, সেটি ভারতীয়দের মাঝেই হোক, কিংবা অন্যদের মধ্যে। ভারতের সাবেক এই তারকা ব্যাটসম্যান নিজেই বলেছেন ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বছরটা তিনি কাটিয়েছেন। বিশেষ করে হর্শা ভোগলের ‘ক্রিকেট জ্ঞান’ নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি চরম অপেশাদারত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
কলকাতার বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্টে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ভোগলেকে নিয়ে বেশ আপত্তিকর একটি মন্তব্য করেছিলেন। কৃত্রিম আলোর নিচে গোলাপি বলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছে? এই নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে ভোগলে বলেছিলেন, বল দেখতে কোনো সমস্যা হয় কি না সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। এর জবাবে মাঞ্জরেকার খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘হার্শা, শুধু তোমারই এটা জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। আমরা যারা ক্রিকেট খেলেছি তাদের এটা জিজ্ঞেস করার দরকার নেই।’
ভোগলে কোনো দিনই সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেননি। কেমিক্যাল ইনজিনিয়ারিং পাস করে তিনি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে ক্রিকেট ধারাভাষ্যের সঙ্গে জড়িয়ে যান। অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওতে কাজ করার পর ১৯৯৫ থেকে ইএসপিএন-স্টারে যোগ দেন। ভোগলের ক্যারিয়ার সম্পর্কে মানুষের ধারণা আছে বলেই মাঞ্জরেকার ওই মন্তব্য করে যথেষ্ট সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন।
ভোগলেকে খোঁচা দেওয়াটা যে উচিত হয়নি, চরম অপেশাদারি কাজ হয়েছে, সেটি অনুধাবন করেছেন মাঞ্জরেকার। পডকাস্টকে তিনি বলেছেন, ‘ভোগলেকে ওই কথাটা বলা আমার উচিত হয়নি। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই আমি প্রযোজকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি যা বলেছি, বা করেছি, সেটি ভুল।’
এ বছরটাকে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের (ধারাভাষ্য) সবচেয়ে বাজে বছর বলছেন, ‘২০১৯ একজন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমার সবচেয়ে বাজে বছর। আমি আমার পেশাদারত্ব নিয়ে সব সময়ই গর্বিত ছিলাম। কিন্তু ভোগলেকে নিয়ে ওই মন্তব্যটি আমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে করেছিলাম। এবং কাজটা ছিল চরম অপেশাদারি।’