আইপিএল থেকে সরে গেছে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভিভো। তাদের সরে যাওয়াটা আচমকা ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। গত জুনে গালোয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারতজুড়ে চীন বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। চলছে চীনা পণ্য বর্জনের প্রচারণা। সে কারণে বরং এবারের আইপিএলে ভিভোর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকাটাই ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে ভিভো নিজেদের সুনামের কথা চিন্তা করেই সরে দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী অবশ্য ভিভোর এই ঘটনাটিকে ছোট্ট একটা ভুল হিসেবেই মনে করছেন। তাঁর মতে, এ ঘটনায় আইপিএল যে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে—ব্যাপারটা তেমন নয়।
২০১৮ সালে ভিভোর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়েছিল। সে চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ২ হাজার ১৯৯ কোটি রুপি দেওয়ার কথা তাদের। আইপিএলের মৌসুম প্রতি অঙ্কটা ৪৪০ কোটি রুপির মতো। গত বৃহস্পতিবার ভিভো আর বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নেয় আগামী সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরাতে শুরু হওয়া আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভিভোর না থাকার ব্যাপারটি। এতে করে আইপিএল এ বছর ৪৪০ কোটি রুপি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিসিসিআই পাচ্ছে না ২২০ কোটি রুপি। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষতির।
সৌরভকে অবশ্য সাহস জোগাচ্ছে বিসিসিআইয়ের শক্ত আর্থিক ভিত্তি, ‘বিসিসিআইয়ের ভিত্তি খুবই শক্ত। অতীতের সংগঠকেরা ভারতীয় ক্রিকেটকে এমন শক্ত জায়গায় নিয়ে গেছেন যে এ ধরনের সমস্যা বিসিসিআই খুব ভালোভাবেই সামলাতে পারবে। এ ব্যাপারে আমরা বিকল্প পন্থা ভাবছি। ভিভোর ঘটনাটি ছোট্ট একটা ভুল। এটি কোনো আর্থিক সংকট তৈরি করবে না।’
সৌরভ মনে করেন যে কারওরই যেকোনো বিষয়ে একাধিক পরিকল্পনা থাকা উচিত, ‘আপনাকে সব সময় যেকোনো বিষয়ে বিকল্প ভেবে রাখতে হবে। বুদ্ধিমানরা তাই করে। ভালো ব্র্যান্ডও অবশ্যই তা-ই করবে। যেকোনো ভালো করপোরেট প্রতিষ্ঠানেরও তেমন পরিকল্পনাই থাকে। বিসিসিআইয়েরও আছে।’