>এশিয়া কাপে শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস। যদিও শিরোপা জিততে না পারায় তিনি কিছুটা হতাশ। কিন্তু খেলোয়াড়েরা সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি
স্টিভ রোডস বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন গত জুনে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাঁর শিষ্যরা টেস্ট সিরিজে বাজে পারফর্ম করলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। এশিয়া কাপের ফাইনালও খেলেছে দল। সে হিসেবে বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে ভালোই সময় কাটছে রোডসের। এশিয়া কাপ অভিযানে শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে এই ইংলিশ কোচের উক্তি, আশা করি বাংলাদেশের দেখেছে এই দলটি সত্যিই লড়াই করা শুরু করেছে।
এশিয়া কাপ শেষে কাল দেশে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর সংবাদ সম্মেলনে এশিয়া কাপে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন রোডস। তাঁর মতে, ছেলেরা দারুণ পারফর্ম করেছে। বিশেষ করে বোলাররা। স্বল্প স্কোর নিয়েই তাঁরা লড়াই করেছে। তবে জয়ের সুযোগ ছিল বলে মনে করছেন রোডস। সেই সুযোগটা হাতছাড়া হওয়ায় তিনি কিছুটা হতাশাও, ‘আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছি। আমরা ভালো পারফর্ম করেছি। ভারতীয় দল খুবই ভালো, আমরা সবাই জানি। তাদেরকে একদম শেষ বল পর্যন্ত ঠেলে নেওয়া খুবই ভালো পারফরম্যান্স ছিল। শুধু একটু হতাশ, আমরা শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করতে পারিনি।’
ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ছড়িয়েছে লিটন দাসের আউটটি। ব্যক্তিগত ১২১ রানে মহেন্দ্র সিং ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হন লিটন। রিপ্লেতে দেখা গেছে লিটনের পা লাইনে ছিল। বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে দেখেও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এর ফলে ‘জুম ইন’ করে দেখার সিদ্ধান্ত নেন তৃতীয় আম্পায়ার রড টাকার। দৃশ্যপট বড় করার পর দেখা যায়, লাইনের ওপরেই ছিল লিটনের পা। তবে লাইনের পেছনে কোনো অংশে তাঁর পা ছিল না। ‘অন দা লাইন’-এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পুরোপুরি আম্পায়ারের হাতে এবং লিটনকে আউট ঘোষণা করা হয়। যদিও ‘বেনিফিট অব ডাউট’ ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়।
লিটনের সেই আউট নিয়ে ওঠা বিতর্কে মুখ খুললেন বাংলাদেশ দলের এই কোচও, ‘খুবই ক্লোজ ডিসিশন ছিল। আমি বলতে পারছি না, এটা আউট নাকি নট আউট ছিল। এটা খুবই কঠিন ছিল। ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তিনি বলেছেন, চারজন আম্পায়ারই নিশ্চিত ছিল, দাগের ভেতরে কিছু ছিল না। যদি পা দাগে থাকে তাহলে তুমি আউট। ক্রিকেটে এসব মেনে নিতেই হবে এবং সামনে এগোতে হবে।’ রোডস আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে আপনি মেনে নিতে শিখেন, একদিন আপনার পক্ষে যাবে, আরেকদিন আপনার বিপক্ষে। সেদিন ফাইনাল ম্যাচে আমাদের হয়ে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে, বলতেই হয় সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে।’
এশিয়া কাপে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিবাচক অনেক কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন রোডস। তাঁর মতে, সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতে সেরা দল নিয়ে খেলতে না পারলেও ছেলেরা তাঁদের সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছে। রোডস বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরা দল নিয়ে খেলতে পারিনি। সাকিব-তামিমের কেউই ছিল না। কিন্তু ছেলেরা যাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছে। টুর্নামেন্টে আরও ৪টি দল ছিল, যারা ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। এদের মধ্যে দুটি দল খুবই ভালো ছিল।’