স্বপ্নের মতো বিশ্বকাপ অভিযাত্রা শেষে সপরিবার গিয়েছিলেন ইউরোপ সফরে। সেখান থেকে মনে রাখার মতো অনেক স্মৃতি নিয়ে ফিরেছেন নিশ্চয়ই। দেশে ফিরে কাল চট্টগ্রামে এসেও মনে রাখার মতো একটা দিন পার করলেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য কাল চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) সাকিবকে সংবর্ধিত করেছে। তাঁর হাতে চট্টগ্রাম নগরের চাবি তুলে দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ক্রেস্ট উপহার দিয়েছে প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা। হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সিরাজুদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কিছু প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে সাকিবকে। এই যেমন বিশ্বকাপে তাঁর অমন সাফল্যের রহস্য কী? না, কোনো সাংবাদিক প্রশ্নটা করেননি। সাকিবের সামনে এমন অনেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে আসলে তাঁরই উত্তরসূরি ক্রিকেটাররা। যারা ব্যাট–বল নিয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো ক্রিকেট একাডেমিতে ছোটে।
খুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে বিশ্বসেরা সাকিবের মন্ত্র, ‘চাপকে জয় করো, খেলাটাকে উপভোগ করো। আর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকেই ভালো ক্রিকেটার উঠে আসবে।’ বিশ্বকাপের আগের তিন–চার মাস কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন, সেটিও তাদের শুনিয়েছেন সাকিব। ইশরাক নামে এক ক্রিকেটারের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘পরীক্ষার আগে যেমন প্রস্তুতি নিতে হয়, তেমনি খেলার আগেও নিতে হয়। যদি বই পড়া থাকে, তাহলে পরীক্ষার আগে টেনশন হওয়ার কথা নয়। তেমনি নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করলে ম্যাচের আগেও টেনশন হবে না।’ চট্টগ্রাম জেলা মহিলা দলের সাইমন আকতার দোলার প্রশ্নে বলেছেন, ‘মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতেছে। আমরা ছেলেরা পারিনি। স্বীকার করতে হবে মেয়েদের ক্রিকেট এখনো সেভাবে অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। তবে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে।’
সিজেকেএসের সংবর্ধনায় সাকিবও বেশ আপ্লুত। কথা প্রসঙ্গে ফিরে গেলেন ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুতে, ‘চট্টগ্রামে আমার টেস্ট অভিষেক। এখান থেকে আজ (গতকাল) সংবর্ধনা পাচ্ছি, এটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যান্য জেলার জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠান অনুকরণীয়।’ চট্টগ্রামের মেজবান আর গরুর কালাভুনার কথা বলতেও ভোলেননি সাকিব। ক্রীড়া সংগঠক আলী আব্বাসের কাছে আবদার করেছেন ভবিষ্যতে আরও কালাভুনা খাওয়ার।