>সাবেক ক্যারিবীয় তারকা ব্রায়ান লারা বিরাট কোহলিকে ক্রিকেটের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলছেন। তিনি মনে করেন খুব বেশি প্রতিভা না থাকলেও কোহলি সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন নিজের পরিশ্রম আর সাধনা দিয়ে।
‘বিরাট কোহলি যেন ক্রিকেটের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ তারকার মতোই ক্রিকেট মাঠে তাঁর দায়বদ্ধতা। দেখলে শ্রদ্ধায় মনটা ভরে ওঠে’—কথাগুলো ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারার। সম্প্রতি ভারত সফরে এসে একটি বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলির প্রশংসায় মুখর সাবেক ক্যারিবীয় তারকা।
প্রতিভায় যে কোহলি খুব বেশি এগিয়ে—এমনটা মনে করেন না লারা, ‘লোকেশ রাহুল কিংবা রোহিত শর্মার চেয়ে প্রতিভার বিচারে খুব বেশি এগিয়ে নেই কোহলি। কিন্তু ওর মূল শক্তি হলো দায়বদ্ধতা, পরিশ্রম আর সাধনা। এ ব্যাপারগুলোতে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সে।’
জুভেন্টাস তারকা রোনালদোর সঙ্গে লারা অনেক জায়গায় মিল দেখেন কোহলির, ‘কোহলি আমার কাছে রীতিমতো ক্রিকেটের রোনালদো। তাঁর মানসিক শক্তি, শারীরিক সক্ষমতা অবিশ্বাস্য।’ লারা দুজনের মধ্যে যে মিল খুঁজে পেয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে মূল ব্যাপার আগ্রাসী মানসিকতা। নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা। লারা হয়তো এটাও জানেন কোহলির নিজের প্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব কিন্তু ওই রোনালদোই।
যুগের বাছ বিচার অনেকেই করেন। কিন্তু লারার মতে এই কোহলি হেসে খেলেই স্যার ডন ব্র্যাডম্যান কিংবা ক্লাইভ লয়েডের আশির দশকের দলে ঢুকে যাবেন। ১৯৪৮ সালে ব্র্যাডম্যানের দলটিকে বলা হতো ‘ইনভিন্সিবল’ বা ‘আনবিটেবল’। দারুণ সব ক্রিকেটার দিয়ে গড়া ছিল সেই দল। আশির দশকে অজেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেও খুব সহজেই দু-একজনকে হটিয়ে ঢুকে যেতে পারেন লারা, ‘কোহলির ব্যাটিং নৈপুণ্য বা সক্ষমতা অন্য স্তরের। সে এমন এক ক্রিকেটার যাকে যেকোনো যুগের দলেই ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। সেটি স্যার ডনের ১৯৪৮ সালের সেই ইনভিন্সিবল দল কিংবা আশির দশকের ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজও হতে পারে। কেউ যদি ক্রিকেটের সব সংস্করণেই পঞ্চাশের ওপর ব্যাটিং গড় নিয়ে বসে থাকে, তাহলে তাঁকে বিশেষ তারকার মর্যাদা দিতেই হবে।’