>বিপিএলে রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ডায়নামাইটস কিংবা সিলেট সিক্সার্সের তুলনায় নিতান্তই ‘দরিদ্র’ চিটাগং ভাইকিংস। কম বাজেটের দল নিয়েও তারা বাজিমাতই করে যাচ্ছে। এ নিয়ে দারুণ তৃপ্ত চিটাগং ভাইকিংসের প্রধান পরামর্শক মিনহাজুল আবেদীন
মিনহাজুল আবেদীনকে মনে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে চট্টগ্রামের ‘আইকন’, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের প্রধান পরামর্শক হিসেবে আছেন। কাল ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করার পর চিটাগংয়ের খেলোয়াড়েরা যখন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের চারদিক ঘুরে দর্শকদের শুভেচ্ছার জবাব দিচ্ছেন, সেখানে ছিলেন মিনহাজুলও। কেবলই হাসছেন। চোখে-মুখে বিজয়ের গর্ব। যে দলটির নামের সঙ্গে ‘চিটাগং’ আছে, সেটির সাফল্যে মিনহাজুল তো গর্বিত হবেনই!
জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন। বিপিএলে নিজের জন্মস্থান চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজির ডাক ফেরাতে পারেননি। দল গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছেন। চট্টগ্রাম-পর্বে এসে দলের টানা তিন হারে বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন। এ দলের সঙ্গে যে তাঁর জন্মস্থানের আবেগ জড়িত। আজ সে কারণেই ঢাকার বিপক্ষে দারুণ এই জয়ের পর মিনহাজুলের খুশির সঙ্গে বেশ খানিকটা আবেগও মিশে থাকল, ‘আসলে আমরা আমাদের পরিশ্রম আর দলগত ঐক্যের ফল পেয়েছি।’
বিপিএলে প্রথমে চিটাগং ভাইকিংস খুব একটা খুশি করতে পারেনি সমর্থকদের। মিনহাজুল জানালেন, ‘কম বাজেটের দল আমাদের। খুব বেশি খরচ করতে পারিনি। তবে আমরা বাজেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছি। কার্যকর খেলোয়াড় কিনেছি। এটিই আমাদের ফল দিয়েছে।’
ম্যাচ শেষ হওয়ারও ঘণ্টা খানিক পর মিনহাজুলকে যখন ফোনে ধরা গেল, তখন তিনি খুব হইচইয়ের মধ্যে। বোঝা গেল বেশ আনন্দ-উল্লাসের মধ্যেই আছেন। আশপাশে ব্যান্ড দলের বাদ্যের সুরও ভেসে এল। মিনহাজুল তার মধ্যেই ঢাকার বিপক্ষে দারুণ জয়টি নিয়ে বললেন, ‘আমরা আজ শুরুতে খুব ভালো ব্যাটিং করেছি। কিন্তু সে হিসেবে রান তত বেশি হয়নি। তবে আমরা খুব কমও করিনি। এই উইকেটে ১৭০ রানের বেশি করাটা ভালো স্কোরই। বোলিংয়ে বোলাররা নিজেদের উজাড় করে দিয়েই এই জয় ছিনিয়ে এনেছে।’
আনন্দের মধ্যেও মিনহাজুল জানিয়ে রাখলেন সুসংবাদটি, চিটাগং ভাইকিংসের ম্যাচজয়ী প্রোটিয়া অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিংক চোট কাটিয়ে উঠেছেন। পরের ম্যাচেই তিনি খেলবেন। দলের হয়ে ৭ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ গড়ের অধিকারী (১১৩.০০), সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (১২) ক্রিকেটারের ফেরাটা তো বড় খবরই। গত তিন ম্যাচে এই ফ্রাইলিংকের অভাবটাই বড় বেশি অনুভূত হয়েছে।
শেষ চারে অন্যদের সঙ্গে ফ্রাইলিংক জ্বলে উঠলে চিটাগংকে নিয়ে আশাবাদী হতেই পারেন।