গায়ে টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা লেবাস থাকলেও বিপিএল শুরু হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ দিয়ে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অলআউট হয়েছেন মাত্র ৯৮ রানে। স্বল্প পুঁজি তাড়া করে জয় পেলেও ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়েছে চিটাগাং ভাইকিংসের। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসই শুধু একটু রান পেয়েছে। কাল তৃতীয় ম্যাচেও সেই লো স্কোরিং। সিলেট সিক্সার্সের ১২৭ রানের জবাবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ৪ উইকেটের জয় পেলেও খেলতে হয়েছে ২০ ওভারই।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের অবস্থা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই ম্যাচে জয় পেলেও উইকেট নিয়ে অনেক কথাই খরচ করতে হয়েছে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। বারবার বলেছেন ‘ডিফিকাল্ট’। উইকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চারবার কথাটি উচ্চারণ করেছেন সালাউদ্দিন। তবে এই সময়ে এর চেয়ে ভালো উইকেট পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন, ‘ইতিহাস বলে এই সময়ে লো স্কোরিং ম্যাচ হবেই। যেহেতু পিচটা কালো মাটিতে করা, ভালো উইকেট বানানো কঠিন। শীতকাল, প্রতিদিন খেলা হচ্ছে ফলে কিউরেটরদের জন্য ভালো উইকেট বানানো কঠিন। আবার রাতের বেলা পানি দিয়ে উইকেটটা তৈরি করতে হয়, একটু কঠিনই। আমরাও আশা করি না ভালো উইকেট হবে। সব সময় লো স্কোরিং ম্যাচ হবে।’ তবে কুয়াশা পড়ার কারণে রাতের ম্যাচগুলোতে রান বেশি হবে বলে মনে করেন সালাউদ্দিন।
উইকেট নিয়ে সমালোচনা আছে এবং হয়তো থাকবেও। কিন্তু এমন উইকেটে খেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা উপকৃত হবে বলে মনে করেন সালাউদ্দিন, ‘আমার মতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা অনেক উপকৃত হবে। সামনে নিউজিল্যান্ড সফর আছে। সেখানে বল অনেক মুভ করবে। ছেলেদের জন্য অনেক উপকার হবে। অনেক কঠিন উইকেট এটি (ব্যাটিংয়ের জন্য)।’
সেটা সাময়িকভাবে জাতীয় দলের কাজে আসতে পারে। কিন্তু এ উইকেটে খেলার সমস্যাও আছে অনেক। এখানে ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে পারেন না বলে টি-টোয়েন্টিতে ভালো ব্যাটসম্যান বের হয় না বলে অভিযোগ সালাউদ্দিনের। বিপিএলের আগে যেহেতু সময় ছিল, ভালো উইকেট করা যেত বলে ধারণা তাঁর, ‘বাংলাদেশে আসলে টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় বের হয় না কারণ আমরা এ উইকেটে শট খেলতে পারি না। শট খেলা যখন লিমিটেড হয়ে যাবে তখন ভালো টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় বের করা কঠিন হয়ে যাবে। এ কারণে ভালো উইকেট পাওয়া সবার জন্য জরুরি। যেহেতু সময় পেয়েছিল। প্রথম দুটি দিনের জন্য একটু ভালো উইকেট আশা করতেই পারি।’