'অফিস' দেখে গেলেন মিসেস মিরাজ

একজন কর্মজীবী মানুষের লম্বা সময় কাটে তাঁর অফিসে। প্রত্যেক কর্মজীবীরই অফিস হচ্ছে ‘দ্বিতীয় ঘর’। বিয়ের পর অনেকেই তাই নববধূকে নিজের কর্মক্ষেত্র দেখাতে নিয়ে আসেন। পরিচয় করিয়ে দেন সহকর্মীদের সঙ্গে। আজ মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন এলেন তাঁর স্ত্রী রাবেয়া আখতার প্রীতিকে নিয়ে। মিরাজের ‘অফিস’ হচ্ছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম!

যেখানে তিনি খেলেন, অনুশীলন করেন, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন, তাঁর পুরো পেশাই যেহেতু আবর্তিত শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে ঘিরে, মিরাজের অফিস তো এটাই। আক্ষরিক অর্থে না হলেও সব ক্রিকেটারের অফিসই আসলে মিরপুর। তাঁদের জীবিকা যেহেতু শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে ঘিরে, মাঠই তাঁদের অফিস, মাঠই তাঁদের ডেস্ক! সেই অফিসে প্রথমবারের মতো নিয়ে এলেন স্ত্রীকে—মিরাজের মুখে বিস্তৃত হাসি। 

বেলা দুইটার দিকে যখন বিসিবি একাডেমি মাঠে এলেন, হঠাৎ সাংবাদিক দেখে ভড়কে গেলেন রাবেয়া। লজ্জায় মুখটাও লুকোনোর চেষ্টা করলেন বার কয়েক! মিরাজের উৎসাহে অবশ্য সে লজ্জা খানিকটা কমল, তবে অস্বস্তিটা গেল না। মিরাজ স্ত্রীকে দেখা করিয়ে আনলেন একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে আসা প্রাইম দোলেশ্বরের খেলোয়াড় ও কোচের সঙ্গে। মাঠ থেকে বেরিয়ে রাবেয়াকে ঘুরিয়ে দেখালেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম আর বিসিবি একাডেমি ভবন।

স্ত্রীকে নিয়ে মিরাজ ঘুরে গেলেন একাডেমি মাঠে। ছবি: প্রথম আলো

যেহেতু জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের নবপরিণীতা, সাংবাদিকেরা চাইছিলেন মিসেস মিরাজের সঙ্গে একটু কথা বলতে। এ দফা সংবাদমাধ্যমের চাওয়াটা পূরণ হয়নি। তবে মিরাজ প্রতিশ্রুতি দিলেন, আরেক দিন হবে! বিয়ে করার কদিন পরই চলে এসেছেন ঢাকায়। মিরাজ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। ধীরে ধীরে মিরাজের পৃথিবীটা জানা হচ্ছে রাবেয়ার। আজ যেমন দেখে গেলেন তাঁর কর্মক্ষেত্রটা।